একেই বলে ভাগ্য! দক্ষিণ ভারতের ব্যাঙ্গালোর রাজ্যের আমরুথাহল্লির একজন ৩৯ বছর বয়সী কাগজ বাছাইকারী কয়েক দিন আগে শহরের নাগাওয়ারা রেলওয়ে স্টেশন এবং এর আশেপাশে বর্জ্যজিনিস সংগ্রহ করছিলেন। হঠাৎ তিনি একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখতে পান। ব্যাগটি খুললে তার মধ্যে ৩৩ কোটি টাকা (৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পাওয়া যায়।
দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেলমান এসকে নামের ওই ব্যক্তি টাকা ভর্তি ব্যাগটি বাড়িতে নিয়ে আসেন। সে তখনও বুঝতে পারছিল না টাকা দিয়ে কী করবে। এরপর তিনি স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী বাপ্পাকে বিষয়টি জানান। বাপ্পা সেলমানকে টাকা রাখতে বলেন। বুঝতে না পেরে সেলমান স্বরাজ ইন্ডিয়ার একজন সমাজকর্মী কলিম উল্লাহর কাছে যান। এরপর করিম উল্লাহ বিষয়টি নগর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দকে জানান।
উল্লাহ দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘আমি কমিশনারকে টাকার কথা জানালে তিনি আমাকে টাকাসহ সেলমানকে তার অফিসে নিয়ে আসতে বলেন। সেলমানের ঘোর তখনও কাটেনি।
তিনি পুলিশকে জানান, স্টেশনে যাওয়ার পথে তিনি টাকার ব্যাগটি দেখতে পান। কমিশনার অবিলম্বে হেব্বল পুলিশকে ডেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে বলেন। ‘
টাকার পাশাপাশি সেলম্যান একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে জাতিসংঘের সিলসহ একটি চিঠিও পান। চিঠি অনুযায়ী অর্থ কমিটি একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য তহবিল প্রতিষ্ঠার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
যেহেতু এই অঞ্চলে ব্যাংকিং কার্যক্রম সন্ত্রাসবাদী এবং স্বৈরশাসকদের মতো অননুমোদিত ব্যক্তিদের দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়, জাতিসংঘের অর্থ কমিটি নোটগুলিতে একটি দৃশ্যমান লেজার স্ট্যাম্প স্থাপনের অনুমোদন দেয় যাতে তারা সুরক্ষিত থাকে এবং নিরাপদে তাদের গন্তব্যে পৌঁছায়। যাইহোক, ডলারের লেজার স্ট্যাম্পগুলি জাল বলে প্রমাণিত হয়েছিল এবং তাই তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।