বাংলাদেশের আলোচিত যে সব ঘটনা রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ঘটনা আবরার ফাহাদ ট্রাজেডি। তিন বছর পার হয়ে গেলেও এই ট্রাজেডি এখনো দাগ কেটে আছে মনের মধ্যে দেশের সব মানুষের। সম্প্রতি তিন বছর হয়ে গেছে এই ঘটনার। এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যা প্রসঙ্গে জাতিসংঘের অবস্থান। ৩ বছর আগে এই দিনে।
আবরার ফাহাদ হত্যায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহবান পূনব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।
আমার প্রশ্ন ছিলো : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মম কায়দায় খুন করেছে ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় কর্মী। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সাপাও এক বিবৃতিতে কঠোরভাবে এ হত্যাকান্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। এ ধরণের হতাকান্ড একের পর এক ঘটে যাচ্ছে। কারণ মুক্তমত প্রকাশের জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে। এটি এখন বাংলাদেশের নিত্যদিনের প্রতিচিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব কী এ বিষয়টিতে অবগত আছেন যে, নৃশংস এই হত্যাকান্ডের নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয়ার কারণে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিকে তলব পর্যন্ত করেছে সরকার। এবিষয়ে কী ভাবছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, তার প্রতিক্রিয়া কী?”
জবাবে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক বলেন, ” হ্যাঁ, জাতিসংঘ কোঅর্ডিনেটর বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে জাতিসংঘ ছাড়াও বাংলাদেশে অবস্থানরত আরো অনেক বিদেশি মিশনও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।” এ হত্যাকাণ্ডকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র।
প্রসঙ্গত, বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ। দেশের স্বার্থে তিনি বলেছিলেন কথা। আর সেই কোথায় যেন কাল হয়ে নেমেছিল তার জীবনে। ছাত্রলীগের দ্বারা প্রাণ দিতে হয়েছিল তাকে।