দেশের সরকারের দায়িত্ব পালন করছে আওয়ামীলীগ দল। এই দলের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ। প্রায় সময় এই ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী নানা ধরনের বির্তকে জড়িয়ে পড়ছেন। এতে করে দলেরই ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপাঠ বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র আবরারকে নি/র্ম/ম ভাবে নি/র্যা/ত/ন করে হ/ত্যা করা হয়। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এমনকি এই ঘটনায় ২৫ জনকে আ/সা/মী করা হয়। এদের মধ্যে ২২ জন আ/সা/মীর বিরুদ্ধে রায়ের জন্য আজ এজলাসে আনা হয়। তবে তাদের রায় ঘোষনার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর কারন উঠে এলো প্রকাশ্যে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হ/ত্যা মামলার রায় পিছিয়ে দিয়েছেন আদালত। আগামী ৮ ডিসেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক আবু জাফর কামরুজ্জামান।আদালত বসার পর রোববার বেলা সোয়া ১২টার দিকে বিচারক আসামিদের নাম ডেকে জানতে চান তারা উপস্থিত আছেন কি না। পরে তিনি বলেন, রায় লেখা শেষ হয়নি। আরও কিছু সময় দরকার। এ মামলার রায় দেওয়া হবে ৮ ডিসেম্বর রায়। ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর শেরেবাংলা হলের গেস্টরুমে আসামিরা সভা করে বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র আবরারকে হ/ত্যা/র সিদ্ধান্ত নেয়। পর দিন রাতে তাকে পি/টি/য়ে হ/ত্যা করা হয়। আবরার নি/হ/তে/র ঘটনায় তার বাবা মো. বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ নভেম্বর আদালতে মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পু/লি/শ (ডি/বি)। ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে এ চার্জশিট দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১১ আসামি সরাসরি হ/ত্যা/কা/ণ্ডে অংশ নেন। বাকি ১৪ জনকে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ততার কারণে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গত বছরের ২১ জানুয়ারি এ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। ওই বছরের ১৮ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলাটি বদলির আদেশ দেন। এর পর একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। গত ১৪ মার্চ এ মামলায় কারা/গা/রে থাকা ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। অপর তিন আসামি প/লা/ত/ক থাকায় আ/ত্ম/পক্ষ শুনানি করতে পারেনি। এর পর কয়েকজন আসামি নিজেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্যও দেন। ৭ সেপ্টেম্বর মামলায় কিছু ত্রুটি থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ পুনরায় চার্জ গঠনের আবেদন করে। ৮ সেপ্টেম্বর আদালত ২৫ আসামির বিরুদ্ধে পুনরায় চার্জ গঠনের আদেশ দেন। এর পর ১৪ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে ২২ আসামি ফের নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এর পর আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে পৌঁছায়।
মামলার চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা যোগসাজশে শি/বি/র সন্দেহে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বা/নো/য়া/ট, ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নি/র্ম/ম/ভাবে পি/টি/য়ে তাকে হ/ত্যা করেন। চার্জশিটে আবরার ফাহাদ রাব্বী হ/ত্যা মামলায় আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান ওরফে মিজানকে হ/ত্যা/র মূল হোতা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। তিনিই আবরারকে শিবির বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এর পর শেরেবাংলা হলের গেস্টরুমে কয়েকজন আসামি সভা করে এ হ/ত্যা/র সিদ্ধান্ত নেন। পরে আবরারকে পি/টি/য়ে হ/ত্যা করা হয়। চার্জশিটে অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং তদন্তে আগত ৬ জন রয়েছেন। এ ছাড়া অভিযুক্তদের মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ২৫ আসামির মধ্যে বুয়েট শিক্ষার্থী মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ পলা/ত/ক। বাকি ২২ জন কা/রা/গা/রে।
এদিকে আজ আ/সা/মীদের রায় শুনতে সকাল থেকেই আদালতে উপস্তিত ছিলেন নি/হ/ত আবরারের বাবা। তবে আসামীদের বিরুদ্ধে আজ রায় ঘোষণা না হওয়ায় তিনি বলেন আমাকে আসতে হয় কুষ্টিয়া থেকে। আসা যাওয়া অনেক কষ্টের। আজ রায়টা হয়ে গেলে ভালো হতো। যত দ্রুত সময়ে যেন রায়টা হয় সেই প্রত্যাশা করছি।