বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনকে মৃ’/ত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ’ণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো: কামরুজ্জামান এ আদেশ দেন। রায়ের সময়, মাননীয় আদালত বলেন যে, এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনায় অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছে, যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে ২২ আসামিকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজির করা হয়। তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগা’র থেকে আদালতে নেওয়া হয়। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অবিলম্বে রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের হ’/ত্যা মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে এ পর্যন্ত বুয়েটের খরচ হয়েছে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা, জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রাসাদ মজুমদার। মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বুয়েটে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
পরবর্তী মামলা পরিচালনায় বুয়েটের সহায়তা অব্যাহত থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য বলেন, আবরারের পরিবারের পক্ষ থেকে যেটুকু চাওয়া হয়েছে তা আমরা দিয়েছি। প্রতিমাসে পঁচাত্তর হাজার টাকা দিচ্ছি। তারা আর্থিকভাবে সংকটে পড়েছেন। এ জন্য আমি ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পাওয়ার পরে জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে প্রতিমাসে ৭৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছি আবরারের পরিবারকে। এ ছাড়া আইনি সহায়তা ও আইনজীবীদের যে ফি এবং স্টুডেন্টদেরকে আনা-নেওয়া করা সাক্ষী হিসেবে খরচ, ঢাকায় এসে থাকার খরচ সবকিছু আমরা বুয়েট থেকে বহন করেছি। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বুয়েটের খরচ হয়েছে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা। এর বাইরে প্রতি মাসে যেটা দেওয়া হচ্ছে, সেটা ১২ বছর দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে তিনি যদি আমাদের কাছে চান এই সাপোর্ট আমরা অবশ্যই দেব।
তিনি বলেন, আবরারের বাবা-মা’র প্রতি আমরা সহমর্মিতা দেখিয়েছি। তাদেরকে বুয়েটের পক্ষ থেকে যতদূর সম্ভব সাহায্য সহযোগিতা করেছি। আইনী ও আর্থিক সহযোগিতা করেছি। ভবিষ্যতেও করব।
এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনকে মৃ’ত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আর বাকি পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিন আসা’মি পলাতক রয়েছেন। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ২৫ আসামির মধ্যে বাইশ জনকে আজ (বুধবার) সকালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১ এ নেওয়া হয় এবং দুপুরে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মোঃ কামারুজ্জামান ২৮ নভেম্বর রায় ঘোষণা করার কথা থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আজ (বুধবার) পর্যন্ত সেটা পিছিয়ে দেন। প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ১৪ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করে ট্রাইব্যুনাল। সমাপনী যুক্তির সময়, প্রসিকিউশন আদালতকে বলেছিল যে তারা ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন এবং তাদের সবার জন্য মৃ’ত্যুদণ্ড চান.