নিখোঁজের মাত্র দুদিন পরেই নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সেই বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর ওরফে পরশের মৃ’ত’দে’হ উদ্ধারের পর ময়’না’তদ’ন্তে’র জন্য লাশ হাসপাতা’লে পাঠায় পুলিশ। আর এরই মধ্যে ম’য়না’ত’দন্তে’র রিপোর্টে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। আর সেই রিপোর্টের আলোকেই জানা গেছে, কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত ভাবেই পরশ’কে ‘হ”ত্যা’ করা হয়।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়’নাত’দন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শেখ ফরহাদ এ তথ্য জানান।
চিকিৎসক শেখ ফরহাদ বলেন, “ফারদিনের পুরো মা’থার বিভিন্ন অংশে আ”ঘা’তের চি’হ্ন রয়েছে। বুকের ভেতরে আ’ঘা’তে’র চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা বুঝতে পেরেছি, এটি ‘হ”ত্যা’কা”ণ্ড। ম’য়না’তদন্তের পর শিগগিরই প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন বলেন, আমি আমার সন্তানকে তো ফিরে পাব না। ন্যায়বিচার আমরা চাই। মেধাবীদের ধরে ‘হ”’ত্যা’ করা হচ্ছে, এটা বন্ধ হোক।
গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিলের পেছনে নদী থেকে ‘লা”শ’টি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার এক বয়ফ্রেন্ড ও এক বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। গত শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন।
ওই দিনই তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জানা গেছে, গত শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর ডেমরা থানার কোনপাড়ার বাসা থেকে ফারদিন নূর পরশ বুয়েটের নিজ বাসভবন হলের দিকে রওনা হন। পরদিন শনিবার সকালে তার পরীক্ষা ছিল। কিন্তু তিনি পরীক্ষায় অংশ নেননি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তার বাবা নূর উদ্দিন জানান, ফারদিন নিজের ইচ্ছায় বুয়েটে ভর্তি হন। তিনি বলেন, “তাকে স্বাধীনভাবে পড়াশোনা করতে দিতাম। যেহেতু আমি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত ছিলাম, আমি খুব একটা সচ্ছল ছিলাম না। ফারদিন নিজে শিক্ষকতা করতেন। পড়ালেখা, শিক্ষকতা, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে যাওয়া এবং সামাজিক ক’র্ম’কা’ণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। খুব শীঘ্রই অপরাধীরা আইনের জালে ধরা পড়বেন বলে আশাবাদী তারা। আর আগে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের সঙ্গেও ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছিল বলে মনে করছেন অনেকেই।