বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মেধাবীরা সাধারণত পড়ে থাকেন বুয়েট এ। তবে গেলো কিছু বছর ধরে এই বুয়েটই সারা দেশে আসছে নানা ধরনের আলোচনায়। বিশেষ করে এ নিয়ে দুই বার দুই মেধাবীর ‘মৃ’ত্যু’ হয়েছে বুয়েটে।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে বুয়েটের মেধাবী আবরার ফাহাদের সাথে।দেশের স্বার্থ রক্ষার স্ট্যাটাস সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে তিনি রোষানলে পড়েন সেখানে থাকা ছাত্রলীগ নেতাদের।ওই দিন রাতেই তাকে বেদম প্রহার করে শেষ করে ফেলে তারা। আর এই ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল সারা দেশ।
এবারের ঘটনাটি ভিন্ন। এবার নিহত হয়েছেন বুয়েটের মেধাবী ছাত্র ফারদিন নূর পরশ।তাকে বুয়েটের ভেতরে শেষ করা না হলেও তাকে প্রথমে করা হয়েছিল গুম। এরপর তিন দিন পর তার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয় শীতলক্ষা নদীতে থেকে।
এ দুইটি ঘটনা আলাদা হলেও এক দিকে রয়েছে মিল। আর তা হলো আবরার ফাহাদের ঘটনার সময়ে ফারদিন ছিলেন প্রথম সারির একজন প্রতিবাদকারী। তিনি আবরারের এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি কোনো ভাবেই। আর এই কারনে করেছিলেন ব্যাপক প্রতিবাদ।
এ দিকে ফারদিন আর আবারের দেহে পাওয়া গেছে একই ক্যাটাগরির মারের দাগ। আর এই কারণেই অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন যে আবারের ঘটনার প্রতিবাদ করাই কাল হলো ফারদিন নূর পরশের।
তবে ইতিমধ্যেই ঘুরে গেছে এই কেসের মোড়।জানা গেছে ৩০ মিনিটের একটি মিশন নিয়ে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া হয় ফারদিনকে। আর এই ঘটনায় জড়িত ছিল ১৫ জন।পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে বেশ জোর কদমে।
প্রসঙ্গত, চলত মাসের গেলো ৩ তারিখে নিখোঁজ হয় ফারদিন। আর সেই থেকেই তার খোঁজ চালাতে থাকে পুলিশ ও তার পরিবার। এরপর নিখোঁজের তিন দিন পর অর্থাৎ ৭ই নভেম্বর তার নিথর দেহ খুঁজে পাওয়া যায় শীতলক্ষা নদীতে।