বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার পরপরই ২০১৯ সালের সাতই অক্টোবর ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীদের হাতে নির্মম ভাবে প্রয়াত হন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। তাকে হারানোর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো শোকের ছায়ায় ভাসছে তার পরিবার। তবে সম্প্রতি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ।
ভর্তি হতে গিয়ে বুয়েটের দেয়ালে বড় ভাই আবরার ফাহাদের গ্রাফিতি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
রোববার (৩১ জুলাই) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে ফাইয়াজ এ কথা বলেন।
আবরার ফাইয়াজের ফেসবুক পোস্টটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
বুয়েটের হল থেকে ভাইয়ের জিনিসপত্র আনার পর আমি তিনবার বুয়েট ক্যাম্পাসে গিয়েছি। পরীক্ষা ছিল তিন দিন। তখন কোন দিকে না তাকিয়ে পরীক্ষা কক্ষে যেতাম।’
ফায়াজ লিখেছেন, ‘ভাই মারা যাওয়ার অনেক দিন হয়ে গেছে। ভাইয়ের বিছানায় এখন আর কেউ আছে। আগে যে ব্যানার-ফেস্টুন ছিল সেগুলো বেশিদিন থাকার কথা নয়। তাই ভর্তির দিন ভাইয়ের কোনো চিহ্ন দেখতে পাব এমন আশা খুব একটা ছিল না। যদিও আমি জানি বুয়েটের কেউ ভাইয়াকে এত সহজে ভুলবে না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই মুছে যায়!
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিন্তু আমি সিএনজি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে এই গ্রাফিতিগুলো ঠিক সামনেই চলে আসে। অনেক জায়গায় এরকম আরও হয়তো আছে। আমি অবাক হলাম, কিন্তু খুব ভালো লাগলো।
এদিকে আবরার ফাহাদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলা ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। এবং বাকি ৫ জনকে যাবদজীবন কারাদন্ড দেয় আদালত। খুব শীঘ্রই যেন এ মামলার রায় কার্যকর হয়, এমনটাই প্রত্যাশা আবরারের পরিবারের।