২৮ অক্টোবরের পর বিএনপি মহাসচিব, শীর্ষ নেতাসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের কয়েক দিনের মাথায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি।
ভোটে অংশগ্রহণের শর্তে বিএনপির সব নেতাকে রাতারাতি মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা কি এই প্রস্তাব পেয়েছেন? বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি গোপনে সমঝোতা করবে আওয়ামী লীগ কীভাবে ভাবল? তারা আবার প্রকাশ্যে একথা বলছে- কিন্তু বিব্রত হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ নীতি-নৈতিকতা হারিয়ে ক্ষমতা দখল করবে, বিএনপির মতো দল তাদের সঙ্গে দরকষাকষি করবে, এটা ভাবা বোকামি।
বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মনে করেন, ২৮ অক্টোবরের সং/ঘর্ষ সরকার পূর্বপরিকল্পিত ছিল।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে সরকার যখন দেখল বিএনপির জনসমাবেশে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি। এরপর তারা মানসিক চাপে পড়েন।
সরকারের পরিকল্পনা ছিল বড় বড় জনসভায় এ ধরনের ঘটনা ঘটানো এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা ও অভিযান চালানো হবে। তারা সেটা করেছে। আর সরকার এমনভাবে নির্বাচন করেছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষ এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন যা-ই ফলাফল দেখান না কেন, প্রকৃত ভোটার ছিল তিন থেকে চার শতাংশ।
তিনি বলেন, বিএনপি সারাদেশের জনগণের কাছে একটি অবৈধ নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে দেশের মানুষ। এটাই বিএনপির চূড়ান্ত বিজয়। এই বিজয় আন্দোলনের বিজয়ের চেয়ে অনেক বড়।
প্রসঙ্গত, বিএনপি ছাড়াই ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।