প্রধান বিচারপতি হিসেবে শেষ বিচার দিবসে বাবা-মাকে স্মরণ করে বিচার বিভাগ থেকে বিদায় নিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ সময় তার মেয়ে, নাতিসহ আদালতে উপস্থিত স্বজনদেরও কাঁদতে দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের সভাকক্ষে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বক্তব্য দেওয়ার সময় আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা হয়।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, এই বিদায় মুহূর্তে আমি আমার প্রয়াত বাবা-মাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তারা আমার এবং আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে জান্নাতের বাসিন্দা হয়েছে। তারা আমার সংগ্রামের পথে সহায়তা করেছেন। এ কথা বলেই প্রধান বিচারপতি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং ডুকরে কেঁদে ওঠেন। কান্নার জন্য এক মিনিটের মতো কথাও বলতে পারেননি তিনি। এ সময় এজলাস কক্ষে উপস্থিত থাকা প্রধান বিচারপতির বড় মেয়ে, নাতি ও ছোট মেয়ের জামাইকেও কাঁদতে দেখা যায়। কিছু সময়ের জন্য এজলাস কক্ষের পুরো পরিবেশ নীরব-নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে।
এরপর প্রধান বিচারপতি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, আমি বিচার বিভাগকে বেশি ভালোবেসে ফেলেছিলাম এবং আমি চেষ্টা করেছি স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে। আমরা আবার দেখা করব, কোথায় জানি না, কখন জানি না, তবে জানি আমাদের আবার দেখা হবে কোনো এক রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে।
বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের সকল বিচারপতি এবং বিপুল সংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। বয়সহীন ঘরে তিল ধারণের জায়গা ছিল না।