এ ধরণের ঘটনা ইতিপূর্বেও লক্ষ্য করা যায়। যেখানে কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে ‘ভাই’ ডাকা নিয়েও নানা বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তাই এ ধরণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচংয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াছমিনকে ‘আপা’ ডেকে সম্মোধন করলে তিনি এতে অপত্তি জানান। আর এরই জের ধরে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দেন জামাল উদ্দিন (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ী। যা ইতিমধ্যে ব্যাপক ভাইরাল হতে দেখা গেছে। তবে ঐ পোস্টটি এখন আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।
ফেসবুক পোস্টে জামাল উদ্দিন লিখেছিলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের সাধারণ জনগণ ‘স্যার’ বলতে হবে এটা কি বাধ্যতামূলক? এ বিষয়ে সরকারের কোনো আইন আছে কি? ফ্যাক্ট: বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ‘আপা’ বলার কারণে খুব রাগান্বিত হয়েছেন। এটা নাকি অফিস অ্যাড্রেস না। আপা না বলে মা ডাকতাম। আমি লজ্জিত। দেশটা কি মগের মুল্লুক?
ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিনের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার দুপুরে এক আত্মীয়ের জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য ইউএনও মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াছমিনের কার্যালয়ে যান জামাল উদ্দিন। ‘স্যার’ সম্বোধন করে তার সঙ্গে জামাল উদ্দিনের কথা শুরু হয়। কথা বলার এক পর্যায়ে অপ্রত্যাশিতভাবে মুখ থেকে ‘আপা’ বলে ফেলেন তিনি। এ সময় ইউএনও সাবিনা ইয়াছমিন রেগে গিয়ে বলেন, ‘এটা তো অফিসিয়াল ভাষা নয়। আপা না ডেকে মা ডাকেন’। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিব্রত। পরে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন।
সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মির হোসেন মিঠুকে ইউএনও কার্যালয় থেকে জামাল উদ্দিনের কাছে পাঠানো হয়। এরপর থেকে পোস্টটি আর দেখাচ্ছে না। রাত সাড়ে ৮টার দিকে জামাল উদ্দিনের টাইমলাইনে ঢুকে এ-সংক্রান্ত কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াছমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে হঠাৎ করেই কেন এই পোস্টটি টাইমলাইন থেকে সরিয়ে নেয়া হলো, সে ব্যাপারে ঐ ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তার কাছে এসে ঐ পোস্টটি ডিলিট করতে বলেন। এরপর তিনি ঐ পোস্টটি টাইমলাইন থেকে সরিয়ে হাইড করে রেখেন বলেও জানান তিনি।