দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে আসলেন বাংলাদেশের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সম্প্রতি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংঘাত না করে সংলাপের দিকে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি ক্রমান্বয়ে ভুল পথে যাচ্ছেন। সেই ভুল পথ থেকে বেরিয়ে আসুন। বিরোধী দলের সঙ্গে বসুন, তবেই মুক্তি পাবেন। নইলে পালিয়ে যেতে হবে।’
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাসানী আনুসারী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় ড. জাফরুল্লাহ এসব কথা বলেন। ১৭ নভেম্বর জাতীয় নির্যাতিত নেতা মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ব্যর্থ হয়েছে, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “ভারত সীমান্তে প্রতি সপ্তাহে একজন করে বাংলাদেশিকে হ’ত্যা’ ‘করছে। ভারতের এই নিপীড়ন কি আপনি দেখতে পাচ্ছেন না? আপনার পররাষ্ট্রনীতি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আপনি তিস্তার পানি আনতে পারবেন না, এটা আছে। তার বদলে দিল্লি চলে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের আয়ের ৩২ শতাংশ চাল কিনতে হয়।তাহলে আমাদের অবস্থা বুঝতে পারবেন।কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আপনি দিন দিন দেখতে পান না।
সংলাপ ছাড়া শেখ হাসিনার মুক্তি নেই। জাফরুল্লাহ বললেন, ‘আপনি যেটা বলেন, সেটা করেন না। আপনি বলেছিলেন, বিরোধী দলের সমাবেশে বাধা দেবেন না। কিন্তু তাদের সমাবেশে বাস বন্ধ করে দিচ্ছেন। সংঘাতের দিকে না গিয়ে সংলাপের দিকে যান।’ সংলাপই দেশকে সুশাসনের দিকে নিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি। তাই প্রধানমন্ত্রীকে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বসার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ড. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, “দেশের সুশাসনের জন্য তিনি বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন। নইলে আপনি আরও বড় সমস্যায় পড়বেন। সমস্যায় পড়লে দেশকে সমস্যায় ফেলবেন। আপনি নিজেকে ভালো বোঝেন না।
এ সময় তিনি মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীকে জাতীয় দিবস ঘোষণারও দাবি জানান।
প্রসঙ্গত,একটা সময়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশের রাজনীতিতেও ছিলেন বেশ সক্রিয়। সে সময়ে তাকে বেশ দেখা যেত রাজনীতির মাঠে। তবে বর্তমানে তিনি রাজনীতির মাঠে না থাকলেও মাঝে মধ্যে দেশের বর্তমান রাজনীতি নিয়ে বলে থাকেন নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কথা।