নেতাদের চাঁদাবাজির বিষয়টি বাংলাদেশ নতুন কিছু নয়। নেতারা অনেক সময় সাধারন মানুষ কিংবা ছোট ব্যবসায়ীদের নিকট থেকেও চাণনদাবাজি করে থাকতে দেখা যায়। এবার চাণনদাবাজির অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ঐ নেতা অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ। চাঁদা চেয়ে এক পানি ব্যবসায়ীকে ফোনে হু”মকি দিয়েছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে! সোহাগের অনুসারীরা ওই ব্যবসায়ীর পানির বোতল ভাং”চুর করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই ব্যবসায়ী বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা ইমদাদুল তাকে ফোন করে টাকার জন্য হলে যেতে বলেন। তিনি হলে যেতে রাজি না হওয়ায় সোহাগ তাকে হু”মকি দেন। পরে ৩১ জানুয়ারি তিনি তার অনুসারীদের পানির বোতল ভাং”চুর করতে পাঠান। তিনি আরও বলেন, তিনি এখন তার জীবন নিয়ে শ”ঙ্কিত। শিগগিরই তার কাছে থাকা পরিচয়পত্র নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি অডিও কল রেকর্ড ও সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের হাতে। ২ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের কথোপকথনের রেকর্ডিংয়ে ছাত্রলীগ নেতা সোহাগকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি কোথায়, ভাই। আপনাকে একটু দেখব। আপনাকে দেখার শখ হইছে আমার।’ সোহাগকে গুলিস্তান যেতে অনুরোধ করলে তিনি ওই ব্যবসায়ীকে বলেন, ‘আমার এখন আপনার সঙ্গে দেখা করতে গুলিস্তান যেতে হবে? আমার অত দরকার নাই। আপনার দরকার হইলে আপনিই আমার কাছে আসবেন! আনন্দবাজারে ব্যবসা করে আপনি কত বড় কুতুব হইছেন, সেইটা আমি দেখব। আপনার যদি শখ হয় আনন্দবাজার আসেন। আপনারে একটু দেখব আমি, আপনি কেমন মানুষ- আপনারে একটু দেখব।’
আরেকটি কল রেকর্ডিংয়ে সোহাগের এক অনুসারীকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি বোঝেন না সে (সোহাগ) কী চায়? তাকে টাকা দেবেন না – ঠিক আছে, তবে আপনি আপনার ছোট ভাইদের দেবেন। ছোট ভাইরা লেখাপড়া করে, তাদের খরচ আছে না?’
এ ঘটনার বিষয়ে ইমদাদুল হাসান সোহাগকে বেশ কয়েকবার তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তাকে খুদেবার্তা পাঠালেও তিনি কোনো উত্তর দেননি। এদিকে তার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু সেখানেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।