বডি বিল্ডার ফারুক হোসেনের মৃত্যুর আগে তার স্ত্রী ইমা আক্তার হ্যাপিকে পুলিশের যৌ*ন হ*য়রানি করে। পুলিশ বলেছিলেন, স্বামীকে ছাড়াতে চাইলে থাকতে হবে আমাদের সঙ্গে। চ্যানেল ২৪কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ফারুকের স্ত্রী ইমা আক্তার হ্যাপি।
হ্যাপি বলেন, আমার দুই বছরের বাচ্চাটাকে দিয়ে তাদের পা ধরাইছি। তারা আমাকে সরাসরি বলেছে, তুমি আমার সাথে থাকলে আমি তোমার স্বামীকে ছেড়ে দেব। বাজে কথা, বডি ফিটনেস এমনকি তাদের সঙ্গে শুইতেও বলছে। তারা বলেছে আপনি অনেক সুন্দর, আপনার সুন্দর বডি ফিটনেস। আপনি আমাদের সঙ্গে থাকেন, আমরা আপনার স্বামীকে ছেড়ে দেব। তারা বলেছিল ১ লাখ টাকা দেন তাহলে আপনার স্বামীকে ছেড়ে দেব।
হ্যাপী বলেন, আমার স্বামী পুলিশের ফোন দিয়ে আমাকে কল দিয়ে বলেছে ওরা আমাকে অনেক মারধর করছে। তুমি তাড়াতাড়ি কায়েতটুলী ফাঁড়িতে আসো। খবর পেয়ে আমি আমার দুই বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে সেখানে ছুটে যাই। আমি গিয়ে দেখি তারা (পুলিশ) আমার স্বামীকে চেয়ারে বেঁধে রেখেছে। তাকে বেঁধে মারধর করেছে। তখন আমি তাদের বললাম, আপনারা আমার স্বামীকে মারছেন কেন? তখন তারা বলছে, তোমার স্বামী অপরাধী। আপনার স্বামী আমাদের গালিগালাজ করেছে। এমনি তো আপনার স্বামীকে ছাড়া যাবে না।
পরে আমি ইমদাদুল স্যার, মাসুদ রানা স্যার ও বুলবুল আহমেদ স্যারের পা ধরলাম। আমি বললাম, আমাকে মাফ করেন স্যার। স্বামীর টাকায় আমার সংসার চলে। আমার তিন সন্তান আছে। তাদের মধ্যে দুজন মাদ্রাসায় পড়ে। আমার স্বামী ছাড়া আর কেউ নেই। তাকে মুক্তি দেন। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি।
পরে তারা ১ লাখ টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকায় নেমে আসে। তখন আমি বললাম এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য আমার নেই।