সম্প্রতি ইডেন কলেজে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র নিজেদের ভিতরে কোন্দোলে জড়ায় ছাত্রলীগ নেতারা। ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতিকে মা/রধর করায় দন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রলীগ নেতারসহ সাধারন শিক্ষার্থীরা। তার পর থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে ইডেন ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারন সম্পাদকের নানা কুকীর্তির কথা। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকদের জন্য হুবাহু সেটি তুলে ধরা হলো।
ইন্সটিটিউটের সন্মান যেমন কাউকে গ্লোরিফাই করে তেমন ইন্সটিটিউটের গ্লানিও তার সাথে সংস্লিষ্টদের স্পর্শ করে, সেই গ্লানির কাজের সাথে যুক্ত না থাকলেও। আমরা চাই বা না চাই, এটা ইচ্ছা নিরপেক্ষভাবে ঘটে। তাই কোন ইন্সটিটিউটের সাথে কেউ যুক্ত থাকলে সেই ইন্সটিটিউটকে রক্ষা করতে হয়।
আমরা না চাইলেও ইডেনের ছাত্রলীগের গ্লানি ইডেনের সকল ছাত্রী ও শিক্ষককে স্পর্শ করবে। শুধু তাইনা, ছাত্রলীগের এই দায় ছাত্র রাজনীতিকে স্পর্শ করবে। আরো বড় বিপদ হচ্ছে, এই ঘটনা নারী শিক্ষাকে পিছিয়ে দেবে। সাধারণ মধ্যবিত্ত আর তাদের মেয়েকে ঢাকায় স্বচ্ছন্দে পড়াতে পাঠাতে পারবে না। আবরারকে পিটিয়ে মারা হয়েছিলো শিবির করে এইটা বলে। ছাত্রলীগ করলেই কী রক্ষা আছে? ছাত্রদের হলেও তো একই কিসিমে গেস্টরুমের নামে নির্যাতন চলে।
বাংলাদেশকে হাসিনা দুর্গন্ধযুক্ত পাইখানা বানায়ে ফেলছে। এইটার উপ্রে পারফিউম ছিটায়ে লাভ নাই। ভাবছেন এর চাইতে আর কী খারাপ হবে?
হাসিনার শাসন যদি দীর্ঘায়িত হয় তাইলে ছাত্রলীগ আর ছাত্রী হল থিকা ছাত্রীদের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাবে না, অপেক্ষা করেন ওরা আপনার বাসায় খদ্দের পাঠাবে। উনাদের মহান নেতা অনিচ্ছুক বাঙ্গালি জাতিকে স্বাধীনতা দিয়ে গেছে, আর এইটুকু ভেট দিবেন না?
আপনার জীবনকে দোজখ বানাইয়া এভাবেই মোমেনের নেত্রী বেহেস্তে থাকবে।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীন সমস্যায় বেরিয়া অভিযোগ গুলো কিসের ইঙ্গিত দেয় শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের কর্মকান্ডের প্রশ্ন পিনাকী ভট্টাচার্যের। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাড়াবে।