সম্প্রতি বিভন্ন অজুহাতে ভালো সিনেমাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাধা তৈরী করা হয়। যার কারনে অনেক বিষয় সম্পর্কে মানুষ জানতে ও দেখতে পারে না। এতে করে বিষয়গুলি ধামা চাপা পড়ে যায় কেউ তার সঠিক তথ্য জানতে পারে না। এতে দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটাতে বাধাগ্রস্থ হয়ে এটি কারর কাম্য হতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা নিচে পাঠকদের জন্য সেটি হুবাহু তুলে ধরা হল।
সেন্সর বোর্ড নামক বস্তুটি থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই।একদা অভিনয় করলেই আপনি সিনেমাবোদ্ধা হয়ে গেছেন,এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।প্রশাসনের কর্মচারিদেরই বা সিনেমাবোদ্ধা হিসেবে সেন্সর বোর্ডে রাখা হবে কেন? কোনো কোনো সেন্সর বোর্ড সদস্য বলছেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবারের বিকেল’ কেন আটকে রাখা হয়েছে আমরা জানি না। কেউ ইঙ্গিত করছেন ‘উচ্চ পর্যায়ে’র সিদ্ধান্তে আটকে রাখা হয়েছে।একটি সুস্থ্য দেশে বায়বীয় ‘উচ্চ পর্যায়’ বলে কোনো কিছু থাকবে কেন? সেন্সর বোর্ড সদস্যগণ আপনারা যদি কিছুই না জানেন,পদ নিয়ে বসে আছেন কেন? ‘পথের বাধা সরাতে’ পারবেন না,বুঝলাম।পথ আটকে বসে থাকবেন কেন?
হলি আর্টিজান নিয়ে নির্মিত বোম্বের সিনেমা দেশে আটকাতে পারবেন? পারবেন না।পারার দরকারও নেই।মানুষকে দেখতে দিতে হবে,জানতে দিতে হবে।
প্রতিবাদ শুধু ‘শনিবারের বিকেল’ আটকে রাখার বিরুদ্ধেই নয়,সেন্সর বোর্ড বিলুপ্তি হওয়া দরকার প্রতিবাদের বিষয়।এসব অথর্ব প্রতিষ্ঠান সমাজ-সংস্কৃতি বিকাশের অন্যতম অন্তরায়। এসব প্রতিষ্ঠানে সামাজিক-সাংস্কৃতিকভাবে পিছিয়ে থাকা কিছু মানুষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, সমাজের এগিয়ে থাকা অংশকে টেনে পেছনে আনার।
সুতরাং অবিলম্বে মুক্ত করে দেওয়া হোক ‘শনিবারের বিকেল’ বিলুপ্ত করা হোক সেন্সর বোর্ড।যাতে আমাদের বিকেল, সকাল নষ্ট না হয়।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন অজুহাতে দেখিয়ে সিনেমা গুলোকে আটকে রাখা হয় যেটি অন্যায় বলে মন্তব্য করেন গোলাম মোর্তোজা। তিনি আরও বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের কোন প্রয়োজন নেই এগুলোর বন্ধের দাবি জানান।