মা/দ/কসহ অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২০২১ সালের ২ অক্টোবর রাতে মুব্বাইয়ের বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে পার্টি থেকে গ্রেপ্তার হন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। দীর্ঘদিন প্রায় এক মাস কারাভোগের পর কয়েক দফা শুনানি শেষে জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। তবে জেল থেকে ছাড়া পেলেও বেশকিছু শর্ত মানতে হচ্ছে তাকে।
এই বছরের ২৮ মে, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) সঠিক প্রমাণের অভাবে আরিয়ান খানকে মা//দ/ক মামলা থেকে খালাস দেয়। মামলার চার্জশিট থেকে শাহরুখ পুত্রের নাম বাদ দিয়ে আদালতে জমা দিয়েছে সংস্থাটি। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আরিয়ানের কাছে কোনো মা/দ/ক/ পাওয়া যায়নি।
এনসিবি গণমাধ্যমে জারি করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে সংস্থাটি চার্জশিটে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করেছে। আরিয়ান খানের নাম নেই। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আরিয়ান ও মোহাক (জয়সাল) ছাড়াও অন্য আসামিদের কাছে মা/দ/ক পাওয়া গেছে।
ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিনের কভার স্টোরি ‘লেসন ফ্রম দ্য আরিয়ান খান কেস’-এ মা/দ/ক মামলা নিয়ে কথা বলেন এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় সিং। সেখানে আরিয়ানের সঙ্গে তার কথোপকথন তুলে ধরেছেন এই কর্মকর্তা।
তিনি জানান, আরিয়ান আমার মুখোমুখি হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘স্যার, আমাকে একজন আন্তর্জাতিক মা/দ/ক পাচারকারী বলা হচ্ছে। আমি নাকি মা/দ/ক ব্যবসার টাকা জোগাড় করেছি? তারা আমার কাছে কোনো মা/দ/ক খুঁজে পায়নি, তারপরও আমাকে গ্রেপ্তার করেছে। আপনারা আমার সঙ্গে অন্যায় করেছেন, আমার ভাবমূর্তিটাই নষ্ট করেছেন। আমাকে কেন এতগুলো সপ্তাহ জেলে থাকতে হলো? আমি কি সত্যি এসবের যোগ্য?’
এদিকে মাদককাণ্ডের অভিযোগের আরিয়ানের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের ট্রোলের শিকার হতে হয় বলিউড বাদশাহ শাহরুখকে। তবে যে যাই বলুক, কারো কোনো কথায় পিছু হাটেননি তিনি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ছেলেকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনতে সক্ষম হন তিনি।