গত কয়েক মাস ধরেই বড় পর্দার পাশাপাশি লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি। যিনি পর্দায় ‘পপি’ নামেই অধিক পরিচিতি পেয়েছেন। তবে চলতি বছরের শুরু থেকেই গোপনে বিয়ে করার গুঞ্জনে রীতিমতো আলোচনায় ছিলেন তিনি। এমনকি শোনা যায়, স্বামীর দেয়া ফ্ল্যাটেও থাকছেন তিনি। যদিও এসব খবরের কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে অনেক চেষ্টার পরও সিনেমা সংশ্লিষ্টরা তার খোঁজ পাচ্ছেন না। বন্ধ আছে পপির ব্যবহার করা দীর্ঘদিনের পুরনো নম্বরটিও। তাতেই সন্দেহের দানা বেঁধেছে অনেকের মনে। গুঞ্জনকে বিশ্বাস করতে চাইছেন কেউ কেউ।
এবার নতুন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে পপিকে নিয়ে। মা হয়েছেন তিনি! রাজধানীর একটি হাসপাতালে পুত্রসন্তান জন্ম দিয়েছেন পপি। এমন গুঞ্জন ফিল্মপাড়ার অলিতে-গলিতে। একাধিক সূত্র বলছে, ২৮ অক্টোবর রাজধানীর একটি হাসপাতালে মা হয়েছেন পপি। ৫ নভেম্বর ছিল তার নির্ধারিত তারিখ।
গুঞ্জনের সত্যতা জানতে যোগাযোগ করা হয় পপির ব্যক্তিগত নম্বরে। একাধিকবার ফোন করে বন্ধ পাওয়া গেছে নম্বরটি।
এদিকে অভিনয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। আর এ কারণেই শিল্পীদের বিপদে আপদে তাকে সামনে থেকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
তার কমিটির সদস্য চিত্রনায়িকা পপি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।
মিশা বলেন, কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করে যে ভাই, আপনার অমক শিল্পীকে আমরা এতোদিন ধরে পাচ্ছি না, আমার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। পরে আমরা ট্রাই করব তাকে বা তার ফ্যামিলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে যে তার অবস্থানটা কোথায়। কিন্তু কেউ যদি লুকিয়ে রাখে তাহলে আমার অধিকার নেই তাকে সামনে আনার।
পপির মা হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। আপনারাই তাদের ভালো বন্ধু, ভালো বান্ধবী, ভালো শুভাকাঙ্ক্ষী। আপনারাই বলতে পারবেন কে মামা হচ্ছে কে হচ্ছে না। কী অবস্থায় আছে আপনারাই ভালো বলতে পারবেন।
শিল্পীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমিতির কোনো হস্তক্ষেপ নেই। তবে শিল্পীর বিপদে সমিতি তাদের পাশে সবসময়ই থাকে, এমনটাই জানালেন এ অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে ওমর সানীর বিপরীতে ‘কুলি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় প্রথমবারের মতো পা রেখেই ভক্তদের মাঝে ব্যাপক পরিচিতি পান পপি। দীর্ঘ দুই দশকের ক্যারিয়ারে একাধিক ব্যবসায় সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি, সেই সঙ্গে অর্জন করেছেন বহু নামিদামি পুরস্কার।