দিনে দিনে বাংলাদেশের টাকার মান কমে যাচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে ডলারের দাম। বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে বিদেশে।যার জন্য ধীরে ধীরে বাংলাদেশের টাকার মান কমে ডলারের রেট বর্তমানে এসে দাড়িয়েছে প্রায় 95 টাকা। যদিও ডলারের রেট কোন কোন সময় একশোর উপরে চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি এ বিষয় নিয়ে ভিন্ন ধরনের যুক্তি দিলেন পিনাকী ভট্টাচার্য।
তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজে লিখেছেন, ডলারের বাজারে আগুন জ্বলছে। কিন্তু তা হবে কেন? সংজ্ঞা কি? কেউ সত্য বলছে না। ডলারের বাজারে আগুন ধরার কোনো কারণ নেই। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে?
আসল কারণ আওয়ামী লীগের সব চোর তাদের চুরির টাকা ডলারে রূপান্তর করছে। টাকা চুরি হয়েছে তাই এটি কোন হারে রূপান্তরিত হচ্ছে তা বিবেচ্য নয়। তাই হাসিনা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। হাসিনা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কারণ হাসিনার চোরদের চুরির টাকা এত বেশি যে দশটা বাংলাদেশি ডলার দিলেও তাদের সব চুরির টাকা কনভার্ট হবে না। বাজার থেকে ডলার কোথায় যাচ্ছে? সবই বিদেশে পাচার হচ্ছে।
আশি টাকা থেকে এক ডলার, মাত্র দুই মাসে তা ১২০ টাকায় এক ডলারে পরিণত হয়েছে। আমার অনুমান সোনার বাজারেও তাই। আমার ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক হলে সোনার চাহিদাও বাড়ছে। যদি সোনার দাম বাড়ে তবে আমার ভবিষ্যদ্বাণী সত্য।
তারাও একই হারে সোনা কিনছে।
আপনার ব্যাংকে রাখা টাকাও হাসিনার চোরেরা খেয়ে ফেলেছে। মানে দুই মাস আগে যদি আপনার ব্যাংকে 120 টাকা থাকে যা দিয়ে আপনি দেড় ডলার কিনতে পারতেন, এখন আপনি এক ডলার কিনবেন। তাইলে তোর টেক্কা খাইনি?
দেখুন কিভাবে তারা টাকার অবমূল্যায়ন করেছে। আমি বলছি এভাবে দেশ চালানো যায় না। দেশ চলবে না। দেশ এগোচ্ছে না। সবই ভাইঙ্গা পড়ছে। হাসিনা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তার সেই ব্যবস্থা নেই, সে হাতুড়ি এবং হেলমেট দিয়ে যে বাহিনী শাসন করে তার প্রতি সে করুণা করতে পারে না। আপনি একা লড়াই করতে পারবেন না।
হাসিনার দলের লোকেরা এখনো বোঝে না যে হাসিনার নামকরা চোরেরাও তার পকেট কেটেছে?
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পিনাকী ভট্টাচার্য বাংলাদেশের বিভিন্ন ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং রাজনৈতিক প্রসঙ্গে আলোচনা করে থাকেন তিনি সর্বদাই যুক্তি দিয়ে কথা বলতে পছন্দ করেন যার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজে তার বিপুল সংখ্যক ফলোয়ার রয়েছে যারা সর্বদা ই তাকে সমর্থন করে থাকে বেশিরভাগ সময় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান সরকার জননেত্রী শেখ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলে থাকে।