Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আপনাদের দৃষ্টিতে নিরপেক্ষতার মানদণ্ড কী : কাদের

আপনাদের দৃষ্টিতে নিরপেক্ষতার মানদণ্ড কী : কাদের

আগামী নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের আলোচনা চলচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোসহ বিভিন্ন মহলে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সরকার ক্ষমতা দীর্ঘ করতে বিগত নির্বাচনের মত পরকল্পনা করেছে। তবে বিএনপির দাবি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত নির্বাচন আর করতে দেওয়া হবে না আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে দিতে বাধ্য করা হবে। আগামী নির্বাচনে সম্পর্কে যা বললেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

জনগণের মতপ্রকাশের সর্বোত্তম মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন, আর সেই ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করতে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় বিএনপি নেতাদের ‘বিষজ্বালা’ বেড়েছে।

বুধবার (৬ জুলাই) সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা কতটুকু-নির্বাচন দিয়ে দেখতে বলছেন বিএনপি মহাসচিবকে এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে আসুন, সাংবিধানিকভাবে যথাসময়ে নির্বাচন হবে।

নির্বাচনই প্রমাণ করবে জনগণ ইতিবাচক রাজনীতির দিকে নাকি নেতিবাচক।

বাংলাদেশের জনগণ কি উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেবে, নাকি লুটপাটের পক্ষে রায় দেবে, এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের’ উদ্দেশে বলেন, দেশে যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, মানুষ কি উন্নয়ন আর অর্জনকে ভোট দেবে, নাকি দুর্নীতিকে ভোট দেবে?

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়েই আগে ভাগে বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এসব কথা বলছেন।

নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হলে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নাকি দৃশ্যমান হবে- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের নিরপেক্ষতার কথা প্রসঙ্গে বলেন, আপনাদের দৃষ্টিতে নিরপেক্ষতার মানদণ্ড কী? তার প্রমাণ আপনারা ক্ষমতাসীন হয়ে বারবার দেখিয়েছেন।

বিএনপি নেতা একবার বলেছিলেন, শিশু-পাগল ছাড়া দেশে কেউ নিরপেক্ষ নয়। দেশের মানুষ জানে, যতদিন বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার পথ নিরাপদ না হবে, ততদিন নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হবে না- তাদের নিরপেক্ষতার মাপকাঠিও নিশ্চিত হবে না। বিএনপির যেকোনো উপায়ে জয়ের নিশ্চয়তা ও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারার মানসিকতাই এখন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রধান অন্তরায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি শুরু থেকেই ক্ষমতায় রয়েছে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র ও ক্ষমতার মন্ত্রে এদেশে গণতন্ত্র, জনমত, নির্বাচন ও রাজনীতির কোনো অর্থবহ ও কল্যাণকর পথে বিএনপির আস্থা নেই।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বলেছেন, জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার এ পর্যন্ত দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছে। শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করেনি, অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি নেতারা দিনরাত সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা বিএনপির কাছে গণতন্ত্র শিখতে চাই না। বিএনপির গণতন্ত্রের মূলে রয়েছে জনগণের অধিকার বঞ্চিত করা, ভোটারবিহীন নির্বাচন, হ্যাঁ বা না ভোট, দেড় কোটি ভুয়া ভোটার, আ/গুন সন্ত্রাস আর দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর শেখ হাসিনার সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বেড়ে যাওয়ায় বিএনপি নেতাদের বুকে বিষজ্বালা বেড়েই চলছে, আর এ থেকেই হতাশায় ভুগতে থাকা বিএনপি নেতারা আবোলতাবোল বলছেন।

প্রসঙ্গত, বিএনপি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এমন বক্তব্যে আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতু করায় শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বাড়ায় নির্বাচনে আসতে ভয় পাচ্ছে। কারন ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি জনগনের জন্য কিছুই করেনি শুধু নিজেদের পকেট ভরেছন।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *