Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আপনাদের কারও কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে রাখবো না, দুঃখিত একটু আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি: মির্জা আব্বাস

আপনাদের কারও কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে রাখবো না, দুঃখিত একটু আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি: মির্জা আব্বাস

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে আর মাত্র ৩৬ ঘণ্টা বাকি রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো না হলে এবং তার কিছু হলে ফলাফল ভালো হবে না।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দোয়া মাহফিলের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও সুস্থতা কামনায় নব্বই দশকের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য ও ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একটা কথা আমি আবারও বলছি, এই অবস্থায় দেশনেত্রীর যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে আপনাদের কারও কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে আমরা রাখবো না। আমি দুঃখিত আমি একটু বোধ হয় আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি। ’

মির্জা আব্বাস জানান, গত ৯ আগস্ট থেকে খালেদা জিয়া বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে পাঠানো জরুরি।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, আমরা আসলে বোকার স্বর্গে বাস করছি। আমরা বুঝতে পারিনি। যেদিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয় সেদিন থেকেই তাকে হ”ত্যার ষড়যন্ত্র হয়। তাকে হত্যা করার জন্যই এই গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা বুঝতে পারিনি। আমরা বুঝেছি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অসুস্থ হওয়ার পরে আমরা বলা শুরু করেছি তিনি অসুস্থ হয়েছেন।

তিনি বললেন, ‘আসলে উনাকে গ্রেপ্তার করে অসুস্থ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হবে- এটাই ছিল তাদের প্ল্যান। সেই প্ল্যান এখন কার্য্কর করছে। আর না হলে কীভাবে অমানুষের মতো, অমানবিকতার মতো একটা কথা বলেন যে, খালেদা জিয়াকে বাইরে পাঠানোর কোনো সুযোগ নাই, আইনের জটিলতা আছে। ’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘মানুষের জীবন বাঁচাতে পৃথিবীর কোনো আইনই কার্যকর নয়। যখন একটি জীবন বাঁচানো প্রয়োজন তখন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে হবে। এটা মানবিক আইন। ইন্টারন্যাশনাল জেনেভা কনভেনশনের একটি আইন আছে- সেই আইনে তিনি চিকিৎসা পেতে পারেন। তার চিকিৎসা হচ্ছে না। ‘

মির্জা আব্বাস বলেন, “আমরা আশা করি সরকার এ সুযোগ নেবে। তারা জাতীয় নেতাকে বিদেশে পাঠিয়েছে- তারা এই সুযোগ নিতে পারে।’

কারাবন্দী নেতাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অতীত উদাহরণ তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গতকাল আমাদের মহাসচিব বলেছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বিদেশে পাঠানোর কথা। আজ দেখলাম তারা (সরকার) বলছে আইনটি জটিল। আমি আজ আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় আসম আবদুর রবকে জার্মানিতে পাঠানো হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে রাশেদ খান মেননকে বিদেশ পাঠান, তার লিভার টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিলো, তাকে সুস্থ করেছিলেন। আজকে তিনি (মেনন) আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। ’

তিনি বলেন, হাজী সেলিম ব্যাংকক গেছেন, চিকিৎসা নিয়ে ফিরে এসেছেন। তিনি এখন বাইরে, নিরাপদ এবং সুস্থ। ম খা আলমগীর (মহিউদ্দিন খান আলমগীর) একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েও বাইরে ঘুরাফেরা করছে, মায়া (মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া) একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বাইরে ঘুরাফেরা করছে। কিন্তু আমার নেত্রী কোনো অপরাধ করেননি, তাকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে। ‘

 

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *