মাহিয়া মাহি রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও অভিনেত্রী। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বর্তমানে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত এই অভিনেত্রী। মাহি ফেসবুক লাইভে এসে গোদাগাড়ী-তানোরের মা-বোনদের অভিমান করে বসে না থাকার অনুরোধ করেছেন।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৩টায় মাহি তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে গোদাগাড়ী-তানোরে উদ্দেশ্য একটি বার্তা দেন। এ সময় তিনি বলেন, আপনাদের এক আঙুলের ছাপ, আমাদের চার আঙুলের কপাল বদলে দেবে।
মা-বোনদের উদ্দেশে মাহি বলেন, প্রিয় মা-বোনদের শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। কারণ, আমি আমার সব মা-বোনের কাছে যেতে পারি না। আমি সত্যিই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে যেতে চেয়েছিলাম। সবার সাথে কথা বলবো। এবং আমি নিশ্চিত যে যদি এটি সম্ভব হত, আমি আমার মা-বোনদের একটি ভোট মিস হতো না।
এ অভিনেত্রী আরও বলেন, তবে আমি যেহেতু মানুষ, জ্বিন-ভূত নই। তানোর ও গোদাগাড়ীর মধ্যে এত বড় এলাকা। তাই এত অল্প সময়ে প্রতিটি গ্রামে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ করছি, আমার মা-বোন, মা—গো, অভিমান করে আমাকে ভোট দেবেন না, দয়া করে এটা করবেন না। এমন অভিমান নিয়ে বসে থাকবেন না যে মাহি আমাদের কাছে আসেনি, আমাদের কাছে ভোট চায়নি। এমন অভিমানটা করবেন না আমার মা বোনেরা।
আপনাদের সন্তান হিসেবে, বোন হিসেবে আমাকে একটা সুযোগ দেন। এই পাঁচ বছরে তুমি আমাকে এতবার দেখবে যে তুমি বিরক্ত হয়ে যাবে যে কেন একজন মানুষ আমাদের কাছে এত আসে। তাহলে আপনারা এতে বিরক্ত হয়ে যাবেন।
মাহি বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নের তিনটি করে ওয়ার্ডে সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে আমার। ওই গ্রামের মা-বোনদের সঙ্গে বৈঠক করব। ওই গ্রামের মা-বোনদের সমস্যা নিয়ে মিটিং করব, তাদের স্বাবলম্বী করতে কী করা যায় এবং আপনাদের পাশে থাকব।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যাকে ১৫ দিনও দেখেননি, আমাকে এতবার দেখবেন যে বিরক্ত হয়ে যাবেন। আমি আপনাকে ৭ তারিখে দলবদ্ধভাবে ভোট দেওয়ার জন্য দৃঢ়ভাবে অনুরোধ করছি। আপনাদের একটা আঙুলের ছাপ, আমাদের এই চার আঙুলের কপালকে বদলে দিবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসন থেকে প্রথমে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। তবে ৯৯ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিলের পর তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি (শারমিন আক্তার নিপা)। এর প্রতীক ট্রাক। আর নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে টানা ৩ বার নির্বাচিত হন।
রাজশাহী-১ আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরী ও স্বতন্ত্র মাহিয়া মাহি (শারমিন আক্তার নিপা) এছাড়াও স্বতন্ত্র মোঃ গোলাম রব্বানী (কাঁচি প্রতীক) এবং স্বতন্ত্র মোঃ আখতারুজ্জামান (ঈগল প্রতীক) জাতীয় পার্টির শামসুদ্দিন (লাঙ্গল প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির নুরুন্নেসা (আম প্রতীক)। , তৃণমূল বিএনপির জামাল খান (সোনালি প্রতীক), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোতার বশির আহমেদ (লাঠি প্রতীক), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) আল সামাদ (টেলিভিশন প্রতীক), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) সামসুজ্জোহা বাবু (নোঙর প্রতীক)।
https://www.facebook.com/100037724802940/videos/1569671277121045/