মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সোনালী মার্কেট এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে সোনালী মার্কেট এলাকায় ভোট প্রার্থনা করছিলেন মৃণাল কান্তি দাস। এ সময় এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের (কাঁচি প্রতীক) সমর্থক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। দুজনের মধ্যে কথোপকথন হয়। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
আলোচনাকালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস উপজেলা চেয়ারম্যানকে বলেন, ‘আমাকে বাবা ডাকছিলেন। ভুলে যাবেন না। আমাকে টাকা সাধছিলেন। এক টাকাও নেই নাই।’
উপজেলা চেয়ারম্যানকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাকে বাপ ডাকুম কেন? আমার কি বাপ নাই? আপনার মাথা কি ঠিক আছে? মাথা ঠান্ডা করেন।’ পরে মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘আমার মাথা ঠান্ডা আছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানো শেষে সোনালী মার্কেট হয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় সংসদ সদস্যের গাড়ি বহর দেখতে পেয়ে সেখানে নামি। তার সঙ্গে কথা বলতে গেলেই তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।’
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস বলেন, প্রতিদিনই তর্ক-বিতর্ক হয়। প্রতিদিন আমাদের ওপর হামলা হচ্ছে। আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে গজারিয়ার সোনালী মার্কেট এলাকায় ভোট চাইছিলাম। সে সময় চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে কাঁচি কাঁচি বলে স্লোগান দিল। আমি তখন তার সাথে কুশল বিনিময় করলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম, আপনি যদি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে এটা করেন, তাহলে এটা কি আপনার মানায়?একপর্যায়ে আমার সাথে বাদানুবাদ হয়। তখন তাকে গত নির্বাচনের বিষয়ে বলি।’