রায়গঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালামকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ ওঠেছে জেলা হাইস্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য দেলোয়ারা বেগম মায়ার বিরুদ্ধে। তিনি সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘আপনাকে আমি দেখে নেবো। আপনাকে মারতে কজন লাগবে?’
অভিযোগে বলা হয়, বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গভর্নিং বডির বৈঠকে মায়া এ হুমকি দেন।
এ ঘটনায় সাংবাদিক আবদুস সালাম বাদী হয়ে নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা চেয়ে সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
সাংবাদিক আবদুস সালাম দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যও। পেশাগত জীবনে তিনি বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
আবদুস সালাম অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের তহবিল ব্যয়ের হিসাব দাবি করায় গভর্নিং বডির সদস্য দেলোয়ারা বেগম মায়া তাকে হ’ত্যার হুমকি দেন। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে গভর্নিং বডির সভাপতি চন্দন শীলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দশম বৈঠকেও মায়া তাকে গালিগালাজ করেন।
এ সময় কমিটির অন্য সদস্যরা দেলোয়ার বেগম মায়াকে আটকানোর চেষ্টা করলে তিনি আরো উগ্র আচরণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে গভর্নিং বডির সভাপতি চন্দন শীল সভা মুলতবি ঘোষণা করেন।
হুমকির বিষয়ে সাংবাদিক আবদুস সালাম নিউজকে বলেন, ওইদিন সন্ধ্যায় গভর্নিং বডির সভা শুরু হলে গত ছয় মাসের ফান্ডের খরচের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। এ সময় বৈঠকে উপস্থিত সবার সামনে বেগম মায়া আমাকে গালিগালাজ করতে থাকেন। আমাকে সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি হত্যার হুমকিও দেয়।
তিনি বলেন, ‘আপনাকে আমি দেখে নেবো। আপনাকে মারতে কয়জন লাগবে?’
সাংবাদিক সালাম আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি হতভম্ব, আতংকিত ও ভীত হয়ে পড়েছি। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত। এ ঘটনার পর প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা চেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। আমার জীবনের হুমকি বিবেচনা করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া জানান, অনাকাঙ্খিত ও অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে তাৎক্ষণিক সভা স্থগিত করার ঘোষণা দেন গভর্নিং বডির সভাপতি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এসআই আলাউদ্দিন আল আজাদকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।