সম্প্রতি রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আন্দোলন শুরু করে ঢাবি শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয় সারা দেশে। আন্দোলনরত ওই শিক্ষার্থী ছয়টি দাবি করে অবস্থান শুরু করলে পরে তার সাথে অন্য শিক্ষার্থীরও অংশ গ্রহন করেন। দীর্ঘ ১৯ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন পর রেলওয়ের কতৃপক্ষের সাথে বৈঠকের পর আন্দোলনের স্থগিতের ঘোষনা করেন রনি। আন্দোলন স্থগিতের ঘোষনা নিয়ে বিভ্রান্তীর সৃষ্টি করা নিয়ে যা বললেন রনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা বন্ধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। ২৫ জুলাই রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভবনের পদ্মা হলে সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রনি। এ সময় তিনি বলেন, আমি আপাতত আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা করছি। তার এমন ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
তবে সমালোচনা থামাতে মুখ খুলেছেন রনি।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে মহিউদ্দিন রনি বলেন, ‘কোথাও একটা মিসকমিউনিকেশন হচ্ছে বা কোনো গোষ্ঠী দ্বারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার আন্দোলন স্থগিত হয়নি। ’
বৈঠকের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কনসার্নে, দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে, সিন্ডিকেট, কালোবাজারি, দুর্নীতিবাজদের ষড়যন্ত্রমূলক প্রচেষ্টায় আন্দোলনকে পুঁজি করে রাজনৈতিকভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টাকে রুখে দিতে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং নানা রকম যুক্তিতর্কের পর তারা আমার দাবিগুলো মেনে নেয় এবং আমাদের ছয় দাবি বাস্তবায়নে তদারকিতে আমাকে একটা সুযোগ দেওয়া হয়। শর্ত ছিল, তাদের তৎপরতার ঘাটতি থাকলে দেশের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষক, সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে বিনা মূল্যে এ সমস্যার সমাধান করে ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন করব। ‘
তিনি আরও লিখেছেন, বিনা পারিশ্রমিকে অহংশিজন কমিটিতে কোনো ব্যক্তিগত সুবিধা ছাড়াই, আমি তাদের গবেষণা, প্রযুক্তিগত পরামর্শ এবং সকল জনগণের অভিযোগের সাপেক্ষে ১৮ কোটি মানুষের হয়ে অ্যাডভোকেসি করার এবং বাস্তবায়ন কমিটিকে চাপ প্রয়োগকারী হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারব।’
মহিউদ্দিন রনি লিখেছেন, ‘আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলেও সিভিক সেন্স ডেভেলপমেন্টে এবং রুট স্তরের মানুষ কীভাবে তাদের অভিযোগ লিখতে পারে, কোথায় জমা দিতে পারে এবং দাবির ভিত্তিতে যথাযথ আইনি বিচার পেতে পারেএ বিষয়গুলোর জন্য জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে প্রত্যেক স্টেশনে শিক্ষার্থীদেরসহ সর্বস্তরের সাধারণ জনগণের সমন্বয়ে গণসংযোগ ও জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করব। খুব শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করার কথাও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, আন্দোলনের কর্মসূচী স্থগিত বিষয়ে বিশেষ একটি মহল বিভ্রান্তী ছড়াচ্ছেন বলে দাবি করে রনি। বিষয়টি নিয়ে সবার সতর্ক থাকার বিষয়ে তুলে ধরেন তিনি।