বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের সব থেকে আলোচিত নাম ঢাবি ছাত্র রনি। গেল বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি দেশের জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন তার রেলওয়ের অব্যস্থাপনা নিয়ে আন্দোলন করে। আর সেই থেকেই তাকে নিয়ে তৈরী হচ্ছে নানা ধরনের সব সংবাদ। এ দিকে ঢাবি ছাত্র মহিউদ্দিন রনিকে এবার দেখা গেলো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ৬ দফা দাবিতে আন্দোলনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেল চারটার দিকে তিনি এ স্মারকলিপি জমা দেন। আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক সায়েম খান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে সায়েম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের দল বা দলের বাইরে কোনো অনুরোধ থাকলে তা এখানে জমা দিলে আমরা তা দেব। মহিউদ্দিন রনি রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমরা তাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই স্মারকলিপিটি আমাদের নেতার কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে।
মহিউদ্দিন রনি বলেন, যতটুকু সুযোগ আছে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার সুযোগ ছিল, আমি করেছি। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই আশ্বাস দেবেন। রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে আমার ও সারাদেশের জনগণের ছয় দফা দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন করবেন।
এর আগে বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি নিরসনে গত ১৯ জুলাই রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারের কাছে ৬ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। গত ৭ জুলাই থেকে রেলের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা।
মহিউদ্দিন রনির রনির ৬ দাবিগুলো হচ্ছে:-
১. টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহজ ডট কমের যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করা এবং হয়রানির ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২. যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ করা
৩. অনলাইনে কোটায় টিকিট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করতে হবে, সেই সঙ্গে অনলাইন-অফলাইনে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা।
৪. যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
৫. ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক মনিটর, শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলসেবার মান বৃদ্ধি করা।
৬. ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
প্রসঙ্গত, রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই লড়ে যাচ্ছিলেন তিনি।নিজের দেয়া ৬ দফা দাবি পুরনে করেছেন অনশনও। আর এই আন্দোলনে অনেক বাধা বিপত্তি আসলেও এখনো থেমে থাকেননি তিনি।