আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে আলোচনায় এসেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকার কারণে তিনি অনেকের নজরে আসেন। আন্দোলনের সময় বাঁধনকে ফার্মগেট, শাহবাগ, এবং শহিদ মিনারসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতার সঙ্গে দেখা গেছে। তবে, তার এই সক্রিয়তা নিয়ে কিছু বিতর্কও উঠেছে।
সমালোচকরা বলছেন, বাঁধন আন্দোলনে অংশ নেওয়া সত্ত্বেও তিনি আসলে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সরকারের সুবিধাভোগী ছিলেন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে তিনি সক্রিয় ছিলেন এবং ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলামের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই সময়ে তার অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে ছবি তোলা এবং সরকারের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করার কারণে তাকে opportunist হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন উঠেছে, একসময় আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করা বাঁধন কেন এখন সেই দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। সম্প্রতি, মুজিব একটি সিনেমার বাজেট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পর তার নাম আবার আলোচনায় এসেছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, কোটি কোটি টাকা বাজেট নিয়ে সেই অর্থের ব্যবহারের বিষয়টি অস্বচ্ছ।
এদিকে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিচারের দাবিতে পদযাত্রার ডাক দেওয়ার পর বাঁধন দাবি করেন যে, ছাত্রদের আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে তাকে নানা হুমকি এবং ভয়ভীতি জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে, অ্যাসিডও মারতে চেয়েছে। তবুও আমি ভয় পাইনি।’ পাশাপাশি, তিনি উল্লেখ করেন যে, অনেক সহশিল্পী তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এবং তাকে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে বাঁধনের আসল অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা চলছেই।