রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনের সাথে অপ’কর্মের পর তাকে হ’/’ত্যা করা হয়েছে। তাছাড়া তার দেহে ‘ফরেন বডি’ ব্যবহার করা হয়েছে সেটার লক্ষণও রয়েছে এবং আলামতও পাওয়া গিয়েছে। যে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে সেখানে এই ধরনের চা’ঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। পিবিআই থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মামলার অভিযোগপত্র খুব তাড়াতাড়ি জমা দেওয়া হবে।
আহসান হাবিব পলাশ যিনি ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিশেষ পু’/লি’/শ সুপার (এসএসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি দেশের একটি নামকরা গনমাধ্যমকে বলেন, আনুশকার সাথে অ’/প’কর্ম এবং হ’/’ত্যা মা’মলার যে তদন্ত সেটা শেষ পর্যায়ে পৌছেছে। এই মাম’লার বিষয়ে যে চার্জশীট সেটা খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে।
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি আদালতের দেয়া নির্দেশ অনুযায়ী আনুশকার ডিএনএ টেস্ট করা হয়। আনুশকার ডিএনএ রিপোর্ট নিয়ে কাজ করার সময় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ছিলেন ডা: সোহেল মাহমুদ। তিনি বর্তমানে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান।
ডা: সোহেল মাহমুদ বলেন, ডিএনএ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। এতে তার সাথে অপ’কর্মের আলামত পাওয়া গেছে। এর পাশাপাশি ফরেন বডি ইনট্রোডাকশানও পাওয়া গেছে।
মা’মলার অভিযোগে বলা হয়, ৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। এক ঘণ্টা পর তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হন। এরপর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে ফোন করেন এবং কোচিং থেকে নোট আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে দিহান ওই শিক্ষার্থীর মাকে ফোন করে জানান যে, তার মেয়ে দিহানের বাসায় এসেছে।
হঠাৎ মূ’র্ছা যাওয়ার পর আনুশকাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে ভর্তির পর জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করে। খবর পেয়ে ঐ ছাত্রীর মা হাসপাতালে পৌঁছান এবং সেখানকার কর্মীদের নিকট হতে জানতে পারেন, অভিযুক্ত তার মেয়েকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর তার সাথে অপ’কর্ম করে। প্রচুর ক্ষ’রণের পর জ্ঞান হারিয়ে ফেললে, অভিযুক্ত ঘটনাটিকে অন্য দিকে নিতে নিজেই ঐ স্কুল ছাত্রীকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।