মেহেরপুরে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় হাজিরা দিতে এসে আদালত ভবনের ৩য় তলা থেকে সীমা আক্তার নামে এক নারীকে নিচে ফেলে তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মামুনুর রশিদ। আহত দুজনকে মেহেরপুর-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত মামুন মেহেরপুর গাংনী উপজেলার শওড়াতলা গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে এবং সীমা আক্তার তেতুলবাড়িয়া রামদেবপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের মেয়ে।
জানা গেছে, প্রায় এক শতাব্দী আগে সীমার সঙ্গে মামুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে স্বামী মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সীমা। ওই অবস্থায় সোমবার আদালত ভবনের তৃতীয় তলার বারান্দায় সীমা ও মামুন দাঁড়িয়ে থাকার সময় হঠাৎ মামুন সীমাকে ধরে ৩য় তলা থেকে নিচে ফেলে দেয়। তাদের আকস্মিকতায় আদালতে দাঁড়ানো সবাই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিসে এসে দুজনকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।