বর্তমান সময়ে আলোচনায় থাকা ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে যোগসাজশ ও বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় বাংলাদেশের নট্যজগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া এবং মডেল অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন দিয়েছেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত আদালতে শুনানীর পর আট সপ্তাহের অগ্রিম জামিন দিয়েছেন আদালত। আদালতে শবনম ফারিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও জেসমিন সুলতানা। রাফিয়াত রশিদ মিথিলার পক্ষে শুনানী করেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক।
অভিনেতা তাহসান খান এবং অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলাসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক। মামলার অন্যান্য আসামিরা হচ্ছেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েস।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি এবং তাদের বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তার কারণে আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন সাদ স্যাম রহমান। এসব তারকার কারণে মামলার বাদী প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া ইভ্যালিতে বিভিন্ন পদে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি এবং তাদের বিভিন্ন প্রচারমূলক আলোচনার কারণে, সাদ স্যাম ইভ্যালিতে ৩,১৮,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন। বাদীর অভিযোগ, সেলিব্রেটিদের প্রচারমূলক কথাবার্তার কারণে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। তাহসান ইভ্যালির শুভেচ্ছাদূত ছিলেন এবং মিথিলা কোম্পানির লাইফস্টাইল শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ইভ্যালির সাথে যুক্ত ছিলেন। ফারিয়া প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। সাদ দাবি করেছেন তার সকলেই প্রতারনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।