প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের এ আদেশ দেন।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অন্য আইনজীবীরা জামিন আবেদনের শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জামিনের বিরোধিতা করেন।
শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, এ মামলায় জামিন মঞ্জুর হওয়ায় তাদের মুক্তিতে কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, যেহেতু মির্জা ফখরুল তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলায় এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী তার বিরুদ্ধে ১০টি মামলায় জামিন পেয়েছেন, তাই তাদের মুক্তিতে কোনো বাধা নেই।
১ ফেব্রুয়ারি সিএমএম আদালত ফখরুল ও ২৪ জানুয়ারি আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাদের পক্ষে দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তিনি ওইদিন শুনানির জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় গত ৩ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন হাইকোর্টে করা হয়। এরপর ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এক সপ্তাহের রুল জারি করেন। এরপর ১০ জানুয়ারি ফখরুলের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২৮ অক্টোবরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি এবং আমীর খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। এই একটি মামলা ছাড়া বাকি সব মামলায় তারা ইতোমধ্যে সিএমএম আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ওই দিনই রাত ৮টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে জেলহাজতে রাখার আবেদন করে। অপরদিকে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন পুলিশ কনস্টেবল আমিনুল পারভেজ হত্যা মামলায় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ২ নভেম্বর গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।