৭ম ব্যালন ডি’অর জয় পাওয়ার পর থেকে লিওনেল মেসি বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পড়ছেন একের পর এক। তবে কী তার এই পুরষ্কার জয় দূর্দিনের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে? এই ধরনের প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। কারণ গত সোমবার অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর পুরস্কার পাওয়ার পর হতে খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে এই পিএসজি সুপারস্টারের।
প্রথম দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কয়েকবার বমিও করেন। তার পেটের পীড়া দেখা দেয়। মাঠের লড়াইয়ে তিনি এবার স্বস্তি পাননি। ব্যালন ডি’অর জয়ের পরে তিনি পিএসজির হয়ে যে ম্যাচ খেলেছেন সেখানে জয় পাননি, ড্র করেন মেসি। এদিকে তার ব্যালন ডি’অর জয় নিয়ে সমালোচনা এবং বিত’র্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এবার মেসি শুনলেন আরও বড় দুঃসংবাদ। স্পেনের কাতালুনিয়া শহরে থাকা তার ২৬ মিলিয়ন পাউন্ডের (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০০ কোটি টাকা) হোটেল ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বার্সেলোনা আদালত।
হোটেলটির নাম ‘মিম সিটগেস’। ৭৭ বেডরুমের ওই হোটেলটি শহরের নিয়ম অনুযায়ী নির্মাণ হয়নি জানিয়ে এই নির্দেশ দেন আদালত।
স্পেনের দৈনিক এল কনফিডেনশিয়াল জানিয়েছে, তবে হোটেলটি এখনই ভাঙা হবে না। নির্দেশটি এখনও মুলতবি আছে। তবে এমন নির্দেশনার বিষয়ে মেসির পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি। ২০১৭ সালে মেসির ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে সমুদ্র থেকে ১০০ ফুট দূরে ‘মিম সিটগেসে’ হোটেলটি নির্মিত হয়।
এদিকে, মেসি তার স্ত্রী এবং তাদের তিন সন্তানের সাথে লে রয়্যাল মনসেউ হোটেলে বসবাস করছেন, কিন্তু পরিবারটি এখন প্যারিসে স্থানান্তরিত হওয়ার এক মাসেরও বেশি সময় ধরে একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আর্জেন্টাইন যেখানে অবস্থান করছেন তার ঠিক উপরে একটি তলায় বারান্দার দরজা দিয়ে চোরেরা হোটেলে প্রবেশ করে বলে জানা যায়। পিএসজি তারকার আগমনের পর থেকে ঐ হোটেলে নিরা’পত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে,তবে চু’রির পেছনে কিছু কারন খুঁজে পেয়েছে সেখানকার নিরাপত্তা কর্মীরা।