আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি দলকে শক্তিশালী এবং গোছানোর কাজ করে চলেছে। তবে বর্তমান ক্ষমতাসীন আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামছে বিএনপি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করেছে দলটি। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশের মাধ্যমে আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছে দলটি। এদিকে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন ধরনের কৌশলগত কর্মকান্ড নিয়ে সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন ঘনিয়ে এলে বিরোধী শক্তিকে দমন করতে সরকার গায়েবি মামলার কৌশল নেয়। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা-মোকদ্দমায় ব্যস্ত রেখে ক্ষমতাসীনরা তাদের কাজ শেষ করবে।
বুধবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘দেউলিয়াত্ব ঘোচাতে দুর্ভিক্ষের নাটক, দেশ কোন পথে’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা তাদের পুরনো খেলা, আমরা ঘটনা ঘটাবো, আপনারা মামলা খাবেন।’
তিনি বলেন, ‘তারা আবার শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ৯৬টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে সাড়ে চার হাজার। আরো ১০ হাজার বেনামী। তাদের পুরোনো খেলা, ঘটনা ঘটাব আমরা, মামলা খাবে তোমরা। সেই মামলার পেছনে এক মাস, দুই মাস ঝুলতে থাকবে। আদালত, জেলখানায় দৌড়াতে থাকবে, এর মধ্যে আমরা আমাদের কাজ শেষ করব
তিনি বলেন, “যতবারই নির্বাচন আসে, ক্ষমতাসীনরা নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবন করে। সরকার বিএনপির আন্দোলনের দিকে জনগণের দৃষ্টি ফেরাতে চায়। নতুন নাটক জ”ঙ্গি অপহ”রণ। মানুষ যে দাবি তুলেছে, আন্দোলন শুরু হয়েছে- জনগণের উত্থাপিত দাবি থেকে দৃষ্টি সরাতে এসব নাটক করা হচ্ছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করতে চায় বিএনপি, যা বিভাগীয় পর্যায়ে দলের শেষ সমাবেশ। তবে এই সমাবেশের অনুমতি এখনো পাননি তারা।
ঢাকার জনসভা নয়াপল্টনে হবে জানিয়ে ফখরুল বলেন, এটা আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি। যেহেতু আমরা সমাবেশ সবসময় নয়াপল্টনেই করে থাকি, তাই আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ও নয়াপল্টনেই করবো। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যারা দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের সংশ্লিষ্ট সকলকে বলতে চাইছি, কোন ধরনের ঝামেলা না করে যাতে সুষ্ঠুভাবে সমাবেশ সম্পন্ন করতে পারি সে বিষয়ে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।