জেকেজি হেলথকেয়ারের সভানেত্রী ডাক্তার সাবরিনা চৌধুরী এবং তার স্বামী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের রোগীদের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার জন্য মাননীয় আদালত ১১ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। আজ মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার এই রায় ঘোষণা করেন। এর আগে দেশের একটি নামকরা গনমাধ্যমের সাথে কথা বলেন সাবরিনা।
‘আল্লাহ ভরসা। আল্লাহ আমার সব সময় ভালো চেয়েছেন।’
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের প্রাদূর্ভাবের সময় এই রোগটির মিথ্যা রিপোর্ট দেওয়ার মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আদালতে নেওয়ার পর আসামি জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা চৌধুরী দেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় গনমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
আপনি কী আশা করছেন, এজেলাস রুমে প্রশ্ন করলে গনমাধ্যমকে এ কথা বলেন সাবরিনা। এ সময় তিনি দোয়া পড়ছিলেন।
এর কিছুক্ষণ পরই রায় ঘোষণা করা হয়। এতে সাবরিনাসহ মামলার মামলার ৮ আসামির ১১ বছর করে কারাদ’ণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আনা হয়। তাদের আদালতের হা’জত খানায় রাখা হয়। পরে তাদের আদালতে তোলা হয়।
গত ২৯ জুন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ১৯ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
এর আগে ১১ মে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
মামলার সূত্র জানায়, জেকেজি হেলথকেয়ার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া রোগ শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে করে ২৭ হাজার লোককে পরীক্ষা না করেই ভূয়া রিপোর্ট দেয়। ২৩ জুন, ২০২০ তারিখে, এই অভিযোগে সংস্থাটি সিলগালা করা হয়েছিল। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হলে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, মামলার যে চার্জশিটে দাখিল করা হয় সেখানে সাবরিনা এবং তার স্বামী আরিফকে ভূয়া রিপোর্ট নিয়ে যে প্র”তারণা করা হয়েছিল তার মূল হোতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এবং অন্য যাদের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তারা ঐ দম্পতির জালি’য়াতিতে সহযোগিতা করার জন্য এমন দণ্ডাদেশ দেন আদালত।