আদালত হলো বিচারকার্যের স্থান। আদালতে অপরাধকারীদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় এবং সেখানে তাদের কৃতকর্মের সত্যতা প্রমাণ করে সেই অনুযায়ী শাস্তির নির্দেশ দিয়ে থাকেন বিচারক। সেই বিচারালয়ে জামিন নিতে আসা কোনো আসামী যদি তার সঙ্গে করে পিস্তল নিয়ে আসে তাহলে ব্যাপারটি আসলেই অনেক ভয়ের।
গাজীপুরে কোমরে পিস্তল নিয়ে আদালতে জামিন নিতে এসেছেন মনসুর আহমেদ নামে এক আসামি। আইনজীবী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং উপস্থিত সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে আদালতের এজলাসে ঢুকে পড়েন তিনি। এ নিয়ে সমালোচনা চলছে।
রবিবার (৩ জুলাই) দুপুরে গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বন আদালত-২ এ ঘটনা ঘটে। মনসুর আহমেদ জয়দেবপুর থানার পিরুজালি গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বন বিভাগের মামলার আসামি মনসুর আহমেদ লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে জামিনের জন্য আদালতে হাজির হন। কিন্তু বিচারক তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে পিস্তলটি সবার নজরে আসে। এ নিয়ে আদালতে হইচই শুরু হয়ে যায়। পিস্তলটি তার গায়ের শার্টের নিচে কোমরে ঢাকা ছিল।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর-অপরাধ) জাকির হাসান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে পুলিশ ওই আসামির কাছ থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করে থানায় জমা দেয়। এটি আদালতে পাঠানো হবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন বলেন, উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আসামি মনসুরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। অস্ত্র নিয়ে আদালতে প্রবেশ করায় তার বিরুদ্ধে রবিবার রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেছি। ওই মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আদালত প্রাঙ্গণে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। যেখানে অপরাধের জন্য দেওয়া হয় শাস্তি সেখানেই যদি ঘটে এত বড় একটি ঘটনা তাহলে বিষটি সত্যিই খুব উদ্বেগের।