বর্তমানে অনেক মেয়েরা রাস্থা ঘাটে চলার সময় চিন্তা করে না তারা যে পোশাক পরিধান করেছে সেটা একজন পুরুশকে উত্তেজিত করতে পারে। দেশে বিদেশে অনেক যায়গায় নারীরা বেশি খারাপ কাজের শিকার হচ্ছে পোশাকের কারনে এমনটাই মনে করেন অনেকেই। তেমনি একজন ব্যক্তি বিচারক কৃষ্ণকুমার। তবে নারীদের পোশক নিয়ে তার চিন্তাভাবনা আদালতে প্রকাশ করে বিপাকে পড়েছেন তিনি।
নারী ঘটিত একটি মামলায় একজন বিচারককে দায়রা আদালত থেকে শ্রম আদালতের প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে বদলি করা হয়েছে ভিকটিমদের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করার জন্য। এবার সেই বিচারপতি কোন উপায় না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারক কৃষ্ণকুমার দাবি করেন, নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে বদলি করা হয়নি।
কয়েকদিন আগে, লেখক ও সমাজকর্মী চন্দ্রনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির দুটি মামলার শুনানি করেন কেরালার কোঝিকোড়ের বিচারক কৃষ্ণকুমার।
সেখানে আসামিকে জামিন দেওয়ার সময় তার একটি মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দেয়। নারী ঘটিত মামলায় অভিযোগকারী নারীর পোশাককেই দায়ী করেছেন বিচারক।
তিনি লক্ষ্য করেছেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন মানবহিতৈষী এবং জাতপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তিনি একজন সতাবলিশ মহিলাকে খারাপভাবে স্পর্শ করবেন, এটা বিশ্বাস করা যায় না।
এরপর একই আসামির বিরুদ্ধে আরেকটি নারী ঘটিত মামলায় তার আরেকটি পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ১২ অগাস্টের পর শুনানিতে, তিনি বলেছিলেন যে অভিযোগকারী নিজেই উত্তেজক পোশাক পরেছিলেন এবং এটি বিশ্বাস করা অসম্ভব যে একজন 74 বছর বয়সী ব্যক্তি, যিনি শারীরিকভাবে অক্ষম, তিনি এমন কাজ করতে পারেন।
বিচারক কৃষ্ণকুমারের এই মন্তব্যের পর তাকে বদলি করা হয়। এবার তিনি হাইকোর্টে দাবি করেন, তাকে অবৈধভাবে বদলি করা হয়েছে। আবেদনে তিনি বলেন, তিনি ডেপুটেশন পদে আছেন। তাই তাকে বদলি করতে হলে তার সম্মতিও নিতে হবে। কিন্তু তার বদলির সময় কিছুই হয়নি।
সুধু ভারত নয় পোশাক নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেও রয়েছে অনেক বিতর্ক। বর্তমানে নারীরা আধুনিকতার সাথে পাল্লা দিতে নিয়ে নিজেদের সংকৃতি ভুলে যাচ্ছে বলে মানে করে অনেক মানুষ। স্বাধীনতার দোহায় দিয়ে রাস্তাঘাটে অনেক নারী বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করে বলে জানিয়েছেন তারা।