অপরাধীদের বিচারের জন্য পুলিশ আসামিদের আদালতে পাঠায়। এরপর তার অপরাধ বিবেচনা করে বিচারক তাদের শাশ্তি প্রদান করে। তবে অপরাধ প্রমানিত হতে যদি সময় লাগে সে ক্ষেত্রে আদালত ঘটনা সম্পর্কে বিবেচনা করে জামিন বা কারাগারে থাকার নির্দেশ প্রদান করে। তবে সবাই আদালতের রায় মেনে নিতে পারে না। সম্প্রতি একটা ঘটনা সূত্রে জানা যায়, আদালতের রায়ের পর ক্ষুদ্ধ হয়ে একধিক পুলিশকে বিচারকের সামনে বেদম ভাবে প্রহার করেছেন যুবক।
ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরে। যৌতুক মামলার আসামি মো. লর্ডস কোর্টে পুলিশ ( police )কে আ/ ক্রমণ করে দুজনকে রক্তাক্ত করে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ ( police ) সদস্য আ/ হত হয়েছেন। রোববার দুপুরে আদালত চলাকালে নারী ও শি/ শু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. তহিদুল ইসলামের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ওপর হামলাকারী উ. মাবুদ (৪০) মেহেরপুরের গাংনী ( Gangni Meherpur ) উপজেলার কুটি ভাটপাড়ার সানোয়ার হোসেনের ( Sanwar Hossain ) ছেলে। জানা গেছে, যৌতুকের একটি মামলায় নারী ও শি/ শু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতে মো. মাবুদের সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন। তহিদুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক মো তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ শুনে আসামিরা বিচারকের সামনে বাদীকে গালিগালাজ করতে থাকে।
এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য আজিমুদ্দিনকে আটক করে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিচারকের নির্দেশে তাকে আদালত থেকে বের করে দেয়। এ সময় পুলিশ সদস্য তার মুখে নাকে ঘুষি মারতে থাকে। আদালতের নির্দেশে রেজাউল হক নামে আরেক পুলিশ আসামিকে হাতকড়া পরাতে গেলে লাথি ও ঘুষি মারেন।
এ সময় আদালত চত্বরে বিভিন্ন মামলার বাদী ও আসামিদের মধ্যে আ/ তঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আদালতের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। উ: আদালতের নির্দেশে প্রভুকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদালত পরিদর্শক গোলাম মোহাম্মদ বলেন, নারী ও শি/ শু নির্যাতন দমন আইনে যৌতুক মামলার আসামি মো. প্রভু বিচারকের সামনে বাদীকে শপথ করা শুরু করেন। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য তাকে বাধা দিলে সে তাদের ওপর হামলা চালায়। আসামি আ. মাবুদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আদালতের সামনে এমন কর্মকান্ডের ঘটনা ওই আসামির উপর ক্ষুদ্ধ হয়েছেন উপস্থিত অনেকেই। তাকেও ঘটনা স্থলে প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ওই স্থানে দায়ীত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা তৎক্ষনাত ঘটনা শান্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যয়ে ঘটনাস্থল শান্ত হয়। ওই আসামির লোকেদের দাবি তাকে বিনা কারনে জেলে পাঠনো হয়েছে। তার কোন অপরাধ নেই। তবুও আমাকে জেলে পাঠানো হলো। এজন্যই তার মেজা চটে যায়। এ কারনেই এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।