Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আদালতে দাঁড়িয়ে বিচারককে উদ্দেশ্য করে যা বললেন মির্জা আব্বাস, দিলেন বার্তা

আদালতে দাঁড়িয়ে বিচারককে উদ্দেশ্য করে যা বললেন মির্জা আব্বাস, দিলেন বার্তা

না”শকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, তারা আমাদের বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। শুধু বিএনপিকে নয় আওয়ামী লীগকেও নেতৃত্বশূন্য করতে চায়। দেশ একদিন নেতৃত্বহীন হবে। আমি ভবিষ্যদ্বাণী বলে দিলাম।

বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানির সময় কথা বলতে চান মির্জা আব্বাস। এ সময় বিচারকের অনুমতি নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি কিছু কথা বলতে চাই। কখনোই কথা বলি না। আমার কোনো কথায় কিছু মনে করবেন না। আমি ছোট্ট গল্প দিয়ে শুরু করতে চাই। একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মানুষ জানতে চায় কী হয়েছিল সেখানে। তিনি উত্তরে বললেন, সেখানে আমার সাইডে লোহা দেখতে পাই।

তিনি আরও বলেন, ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। অনেক মিছিল করেছি। প্রতিবাদ করে এরশাদ সরকারের পতন ঘটালাম। এত বছরে এমন কোনো মামলা দেখিনি।

শুনানিকালে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মোসলেউদ্দিন জসিম বলেন, মির্জা আব্বাসের বয়স ৭০ থেকে ৭৪ বছর। রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মির্জা আব্বাসের বয়স ৫৭ বছর। এ সময় মির্জা আব্বাস বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার বয়স ৭৪ বছর। তদন্ত কর্মকর্তা যা লিখেছেন তা সঠিক নয়। এর আগে আদালতে নেওয়ার সময় মির্জা আব্বাস স্লোগান দিতে থাকা নেতাকর্মীদের বিজয় চিহ্ন দেখান।

রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই নুরুল ইসলাম মির্জা আব্বাসের বয়স দেখিয়েছেন ৫৭ বছর। শুনানিতে মির্জা আব্বাসকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ঘটনার দিন পুলিশের এতটি রাইফেল ছিনতাই হয়েছে। এছাড়া পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। শুনানি শেষে বিচারক মির্জা আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শহীদবাগে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ৪৯ জনসহ ৭০০-৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা বেআইনিভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্লোগান দেয়।

তারা জনমনে আত’ঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে এবং শাহজাহানপুর থানা এলাকায় বিভিন্ন না”শকতা ও না”শকতামূলক কর্মকান্ড চালায় এবং হ”ত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ছুড়ে পুলিশের কাজে বাধা দেয়। এ সময় আসামিরা অ’স্ত্র ছিনিয়ে নেয়।

 

 

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *