পারিবারিক কলহের জেরে মারামারির সময় মেহেরপুর জজকোর্টের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে স্বামী-স্ত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মামনুর রশিদ (৩৫) ও সীমা খাতুন (২৮)। মামনূর রশিদ গাংনী উপজেলার সাহরতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। সীমা খাতুন একই উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের মালিপাড়ার ফরিদুল ইসলামের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কালো বোরকা পরা এক নারী এবং মেরুন জ্যাকেট পরা আরেকজন আদালত ভবনের তৃতীয় তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। আদালতের বারান্দার রেলিং ছোট হওয়ায় একপর্যায়ে দুজন নিচে পড়ে যান। পরে লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত সীমা খাতুন জানান, ২০১১ সালে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সংসার ভালোই চলছিল। তবে পরিবারে সন্তান না হওয়া নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিবাদ পারিবারিক রূপ নেয়। উভয় পক্ষ আদালতে পৃথক মামলা দায়ের করেন। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে আদালতে মামলা করা হয়। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মামনুর রশিদকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ২০ হাজার টাকা জমা দিতে আদালতে আসেন মামুন।
সীমা খাতুন অভিযোগ করেন, মামুন তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সে নিজেকে বাঁচাতে মামুনের হাত চেপে ধরে। এতে দুজনেই নিচে পড়ে আহত হন।
তবে সীমার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে মামুন বলেন, সীমা তাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।
দুজনেই মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সীমার হাতে ও মামুনের মাথায় আঘাত রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।