ভারতের আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকায় সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। গৌতম আদানি, যিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঘনিষ্ঠ ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সান্নিধ্যশীল, তার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বকেয়া নিয়ে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এখন বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে। দেশের বিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, আদানি একতরফা চুক্তির সুযোগ নিয়ে উচ্চমূল্যে কয়লা সরবরাহ করছে এবং বকেয়া পরিশোধের জন্য বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি) আদানির বাড়তি দাম পরিশোধে অস্বীকৃতি জানালে, আদানি দাম কমাতে সম্মত হয় এবং পায়রা ও রামপালের তুলনায় কম মূল্যে কয়লা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু এখন আদানি নতুন করে ২২ শতাংশ বেশি দাম দাবি করছে, যা বকেয়া বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির মধ্যে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে জ্বালানি, বাণিজ্য এবং সংযোগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। ড. ইউনূস নেপাল থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ওপর জোর দেন। বাংলাদেশ আশা করছে যে আগামী মাসে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি সই হবে, এবং ভবিষ্যতে নেপাল থেকে আরও বিদ্যুৎ আমদানি সম্ভব হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বৈঠকে জ্বালানি উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খান এবং সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।