তমিজীর সাথেই আসে বেত্তমিজী শব্দ
————————————————
দুদিন যাবৎ অনলাইনে ভাইরাল- আদম তমিজী হক নামে এক লীগ নেতার পাসপোর্ট পোড়ানোর ভিডিও, সাথে তার চতুর্থ স্ত্রীর সাথে ধস্তাধস্তি- আর খিস্তি- “আমি আদম তমিজী হক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতা ছিলাম। আওয়ামিলীগ আমার ২ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়ে, আমাকে দেশ থেকে বের করে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমার বউকে, আমার দলকে আমার বিরুদ্ধে দাড় করাইছে- আম্লীগের মত এত নিকৃষ্ট দল আমি জীবিনেও দেখি নাই, যে কোন দলকে ভোট দিবেন কিন্তু আম্লীগকে ভোট দিবেন না।”
ঘটনা হইল:
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ‘হক শিল্প গ্রুপের’ প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন অবাঙালী ব্যারিস্টার তমিজুল হক। পিতার পরে এই গ্রুপের মালিক হন পুত্র আদম তমিজী হক। এই আদমরে হঠাৎ রাজনীতির ভূতে ধরলো, আওয়ামী লীগে জয়েন করে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে ইলেকশনের ঘোষণা করলো। প্রচুর টাকাপয়সা চাঁদা দিলো, দু’হাতে ছড়ালো। তখন অনেকগুলো গরম গরম ভিডিও এভেইলেবল- যাতে হুমকি ধামকি, আওয়ামী উগ্রতা ছড়িয়েছিল।
এর মাঝখানে তার ৩/৪ খান বিয়ে গেছে। সর্বশেষ ৪ নম্বর জোয়ান টিকটকার বউকেধরে টান দিয়েছে আহসানুল্লাহ মাস্টারের ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল, হাসিনা সরকারের প্রতিমন্ত্রী। সেই সাথে তমিজি হক তার হাজার কোটি টাকার ইন্ডাস্ট্রি হারিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়ে বেতমিজ হয়েছেন!
বেচারা আদম বুঝতে পারেনি, আ’লীগ করতে গিয়ে অনেক নেতা বউ সংসার হারিয়েছে! জন্মের পরেই পার্টির যুগ্ম সম্পাদক শেখ মুজিবের গিরিঙ্গিবাজিতে প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক শামসুল হক তার বৌ-সংসার-দল হারিয়ে নিখোঁজ অবস্থায় মারা যান। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা ভাষানীকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে মুজিব নিজেই তা দখল করে।
আওয়ামীলীগ হচ্ছে কিংস্নেকের মত, যারা খেতে খেতে নিজের লেজ খাওয়া শুরু করে। যারা আগে টের পায়, কেউ দুধে গোসল করে কওবা করে, কেউবা সই করবো না বলে এম্বেসিতে গিয়ে আশ্রয় নেয়, কেউ আবার বিদেশে পালিয়ে গিয়ে পাসপোর্ট পোড়ায়।
হায় লীগ হায় লীগ!
✍-শামসুল আলম