ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর আত্মহননের ঘটনাটি সঠিক নয় বলে জানা গেছে। তাকে পরিকল্পিত ভাবে মে/রে ফেলা হয়েছে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্রথমে জানানো হয়েছিল চিরকুট লিখে ওই ছাত্রী দশতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আ/ত্মহনন করেছে। কিন্তু বিষয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তার সহপাটিরা।
রাজধানীর দক্ষিণখানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজানা মোসাদ্দিকা আ/ত্মহনন করেননি। তাকে হ/ত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সহপাঠীরা। হ/ত্যার সঙ্গে তার বাবা শাহীন ইসলাম জড়িত জানিয়ে সহপাঠীরা দাবি করেন, এ ঘটনার তদন্তপূর্বক তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।
মানববন্ধনে সানজানার সহপাঠীরা জানান, সানজানার বাবা তাকে অমানুষিক নি/র্যাতন করতেন। তাকে বাসায় এক মাস বেঁধেও রেখেছিল তার বাবা। এসব অত্যাচার ও বর্বর আচরণের কারণেই আজ এই পরিণতি হয়েছে সানজানার।
তারা আরও বলেন, যে ভবনটিতে থেকে সানজানা লাফিয়ে পড়েছে বলা হচ্ছে, সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা তার মৃ/তদেহ দেখেছি, হাত-পা ভাঙেনি বা শরীর থেঁতলেও যায়নি এটা পুরোটা অসম্ভব বিষয়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সানজানার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছে এবং এ নিয়ে প্রায়ই তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হতো। সানজানার বাবা প্রায়ই মাকে মারধর করতেন। সানজানা বাধা দিতে গেলে তার বাবাও তাকে মারধর করতেন। সানজানার শরীরে আঘাতের অনেক চিন্হ রয়েছে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সানজানার বাবা শাহীন আলমকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
সানজানার মৃ/ত্যুর ঘটনায় দক্ষিণখান থানায় আ/ত্মহনন প্ররোচনার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
এর আগে শনিবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে সানজানা মোসাদ্দিকার ম/রদেহ উদ্ধার করা হয়। সানজানা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্রী ছিল। পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যে ঘটনাস্থল থেকে একটি ‘সুইসাইডাল নোট’ পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, ওই ছাত্রী আত্মহনন করেছে বলে যে তথ্য দিয়া হয়ে সেটি সম্পর্ন ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রাণনাশকারী ধরতে ও তার শাস্তির দাবি জানিয়েছে তার সহপাটিরা।