গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক ভারতের বেশ কয়েকজন মডেল ও অভিনেতা আ/ ত্মহত্যা করেছেন। এরপরই কলকাতার উঠতি মডেলের আত্মহত্যার চেষ্টার খবর আসে। দেবলীনা দে নামের এই মডেলের বয়স ২৭ বছর।
তিনি বিভিন্ন সিরিয়াল ও মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন। শুক্রবার (২৪ জুন) রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বেশ কিছু ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন তিনি। তবে রাতের দিকে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ফলে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
পরিবারকে দোষারোপ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন দেবলীনা। যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘আমি বেঁচে থাকার জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি। সবকিছুর জন্য আমার পরিবার দায়ী। এখন আমি শান্তি চাই। বিদায়।
এছাড়া তার লিখা চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বোকা ও অবাস্তব…’ ‘আমার ভাই মা/ দকাসক্ত। গাঁজা, চরস, পাতা, মদ খায়। মা টাকা দেন। কোন কাজ করে না। উল্টো বাড়ি ভাংচুর করে। ছু/ রি-কাঁ/চি নিয়ে যা পায় তাই নিয়ে মারতে আসে। নিজের কষ্টের কথা জানিয়েছেন উঠতি অভিনেত্রী। তিনি একটি চিঠিতে প্রকাশ করতে দ্বিধা করেননি। সে লিখেছেন, তার ভাই তকে বেশ্যা বলে এবং তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে।
ওই চিঠিতে একজন ভদ্রলোকের কথাও বলেছিলেন যে, শুভজিৎ নামে একজন তাকে নিয়মিত টাকা পাঠান। সে কারণেই তিনি বেঁচে আছেন। জানাতে ভোলেননি, বাধ্য হয়ে এই টাকা নিয়েছেন তিনি। এরপর তিনি কৌশিক রায় নামে আরেকজনের কথা উল্লেখ করেন। মডেলের দাবি, কৌশিক তাকে ব্যবহার করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। আপনি বিবাহিত এবং শান্তিতে আছেন। এভাবে তিনি তার পরিচিত বিভিন্ন ব্যক্তির নামে অভিযোগ করেছেন। তিনি চিঠির মাধ্যমে তার সম্মিলিত ব্যবহারের করুণ পরিণতি জানাতে চেয়েছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কালনার বাসিন্দা দেবলীনা দে গত দেড় বছর ধরে মুকুন্দপুর এলাকার উত্তরিকা আবাসে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। কিছু সিরিয়ালে কাজও পেয়েছেন। তবে আয় খুব বেশি হয়নি। পরিবারের সদস্যরা জানান, পরিবারের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হতো।
এর আগে, ঘটনাটি ২২ জুন দেবলীনার জন্মদিনে শেষ হয়েছিল। কালনায় তার পৈতৃক বাড়িতে জন্মদিনের পার্টির পরে, দেবলীনা একটি নতুন ফ্যাশন হাউস খোলার জন্য তার বাবার কাছে এক মিলিয়ন টাকা চেয়েছিল। এই নিয়ে ঝামেলা। একপর্যায়ে ওই তরুণী তার ভাইয়ের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে।
সেই রাতে, তিনি তার ভাইকে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম থেকে ব্লক করেছিলেন। পরদিন বিকেলে দেবলীনাকে একটা গাড়ি ভাড়া করে কলকাতায় পাঠানো হয়। সেখানে ফেসবুকে পরিবারের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন দেবলীনা।