Tuesday , November 19 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আত্মরক্ষা করতে নদীতে ঝাঁপ দিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা পুলিশ সদস্য কাওছারের

আত্মরক্ষা করতে নদীতে ঝাঁপ দিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা পুলিশ সদস্য কাওছারের

নিজেই  আইনের লোক তবুও করেন বেআইনি কাজ। স্ত্রী সন্তান থাকতেও নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে বাড়িওয়ালার কাছে। অন্যদিকে বাড়িওয়ালার রয়েছে সুন্দরী এক কন্যা সন্তান। বাড়িওয়ালাও ভেবেছিলেন ছেলে পুলিশে চাকুরি করে অঘটন যেহেতু ঘটে গেছে মেয়ের সাথে বিবাহ বিয়ে দিলে সমস্যা নাই। এরপরই একেরপর এক বেরিয়ে আসতে থাকে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য।

 

বিভিন্ন গন মাধ্যম থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়,  পুলিশ সদস্য কাওছার আহমেদ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বরিশাল নগরীর একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। বাড়ির মালিকের মেয়ের সাথে পরিচয়। এক অদ্ভুত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কাউছার ঝগড়া শুরু করে। ঘটনার বিস্তারিত পরিবারকে জানালে মেয়েটির স্বজনরা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

 

তদন্তে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভনে নগরীর দক্ষিণ আলেকন্দা এলাকার ওই তরুণীর সঙ্গে শা‘‘রীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কাউছার। এরপর মেয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জানার পর মেয়েটির পরিবার কী করবে বুঝতে পারছে না।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) নগরীর বান্দরোড সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর তীরে ত্রিশ গোডাউন এলাকায় কথা বলার জন্য ওই তরুণীকে ফোন করেন কাওছার। এ সময় মেয়েটির সঙ্গে তার মা, খালা ও চাচাও ছিলেন। সেখানে কাউছার সঙ্গে তাদের দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। তারা কাউচারকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আশপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হয়।

 

এক পর্যায়ে কাউছার কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। স্থানীয়দের সহায়তায় ট্রলারযোগে নদীর মাঝখানে কাউচারকে আটক করে কিশোরীর স্বজনরা। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাকে কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করেন।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাউছার বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনের সদস্য হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি বরগুনার আমড়াহুদি গ্রামে। চাকরির সুবাদে বরিশাল নগরীর দক্ষিণ আলেকন্দা এলাকায় মেয়ের বাবার বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন।

 

নির্যাতিতার স্বজনরা জানান, গত জানুয়ারি মাসে কাউছার তার স্ত্রী ও সন্তানদের ওই ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। এরপর বাড়ির মালিকের মেয়ের সঙ্গে দেখা হয় তার। একই সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ের জন্য স্বামী খুঁজছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এ উপলক্ষে কাউছার এক অবিবাহিত সহকর্মীর সঙ্গে তরুণীর বিয়ের কথা বলেন। এই সূত্র ধরে কাওছার সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তারাও একাধিকবার বিভিন্ন স্থানে যান। একপর্যায়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তরুণী কাউছারকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে কাউছার তর্ক শুরু করেন। এমনকি তরুণীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন।

 

এ বিষয়ে বরিশাল কোট্যালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার ভিকটিম বাদী হয়ে কনস্টেবল কাওছার আহমেদকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ মামলায় কাউছারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

হাসপাতাদের তার ডাক্তারি পরিক্ষা শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে আসলে অন্তসত্ম ওই নারীর শরিরে কার সন্তান রয়েছে। যাদি ওই নারীর শরিরে পুলিশ সদস্য কাওছারের সন্তানের অস্তিত্ব পাওয়া যায় তাহলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে সেই ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। 

 

About Nasimul Islam

Check Also

নির্বাচন দিতে দেরি করলে মানুষ সন্দেহ করবে, সমস্যা বাড়বে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দীর্ঘ হলে দেশের সমস্যা আরও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *