Monday , December 23 2024
Breaking News
Home / National / আত্মগোপন না করে গ্রেফতার হওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আত্মগোপন না করে গ্রেফতার হওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ সৃষ্টির রুপকার হিসেবে গন্য করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংগ্রাম করেছেন। এবং এরই সুত্র ধরে নানা ভাবে নি/র্যা/তি/ত-নিপী/ড়ী/ত হয়েছে। তবে তিনি দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য আপ্রান ভাবে কাজ করেছেন সকল বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার প্রসঙ্গ তুলে বেশ কিছু কথা স্মরন করলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের পররাষ্ট্র নীতির মূলভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বাস রেখেছিলেন ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়’-এই কালোত্তীর্ণ মূলমন্ত্রে। বঙ্গবন্ধু জীবদ্দশাতেই মূল্যবোধ এবং আদর্শভিত্তিক পররাষ্ট্র নীতির প্রচলন করেছিলেন, যা যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও প্রশংসা এনে দিয়েছিল। স্বাধীনতা লাভের খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতি জাতিসঙ্ঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতেও প্রশংসিত হয়েছিল। সোমবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলার নতুন সূর্যালোকে ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিরে আসেন তার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের কা/রা/গা/রে থেকে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসার মাধ্যমে জাতির বিজয় পূর্ণতা লাভ করে।

মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের স্বাধীনতার মতোই তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি যদি ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে না আসতেন, যদি পাকিস্তানী সামরিক জান্তারা তাকে হ/ত্যা করত, তাহলে জাতি আজকের এই বাংলাদেশ পেতো না। বঙ্গবন্ধুর সমালোচকদের কেউ কেউ এখনো বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানী শা/স/ক/দের গ্রে/ফ/তা/রের সুযোগ না দিয়ে আত্মগোপন করতে পারতেন। আত্মগোপনে থেকে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে পারতেন। যারা এ ধরনের কথা বলেন, তারা আসলে সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা সম্পর্কে জানেন না। তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি, বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছেন সিংহের মতো; বীরের মতো। তিনি লুকোচুরি পছন্দ করতেন না। তিনি তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘আমি পালিয়ে থাকার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। কারণ আমি গোপন রাজনীতি পছন্দ করি না, আর বিশ্বাসও করি না।’ ব্রিটিশ ধাঁচের সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছিল বঙ্গবন্ধুর পছন্দ। আত্মগোপন না করে গ্রেফতার হওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্তের একটি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হিমালয়ের মতো উঁচু হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বিশ্ব নেতৃত্বের মঞ্চে। বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশ নামের প্রতিশব্দ। দুর্ভাগ্যক্রমে, আমরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হারানোর মধ্য দিয়ে সেই গতিপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়েছিলাম। ‘সোনার বাংলা’ আরো অনেক আগেই আমরা পেতে পারতাম যদি বঙ্গবন্ধুকে আমরা রক্ষা করতে পারতাম। তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু নেই। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, তার রক্ত যার ধমনীতে, যে রক্ত আপসহীন, যে রক্ত পরাভব মানে না, যে রক্ত হাসিমুখে মৃ/ত্যু/কে আলিঙ্গন করতে জানে, সেই রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত সরকার অর্থনৈতিক মুক্তি এনে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরনে কাজ করছেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি টানা ৩ মেয়াদে বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্ব বাংলাদেশ ব্যপক সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি তিনি দেশকে সফলতার শীর্ষ স্থানে অধিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

About

Check Also

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে লিজ দিচ্ছে। তবে প্রধান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *