হারিছ চৌধুরী আত্মগোপনে থাকাকালীন সময়ে যতটা না আলোচিত ছিলেন, মৃ’ত্যুর পরে তার আত্মগোপন নিয়ে আরো বেশি রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে, সবার মনেই একটা প্রশ্নই বারংবার ঘুরপাক খাচ্ছে কিভাবে ১৪ বছর ক্ষমতাসীন ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের মাটিতেই কাটিয়েছেন। এক কিংবা দুই নয় দীর্ঘ ১৪ বছর কিভাবে ফাঁকি দিয়েছেন ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টের তালিকায় থাকা এই ব্যক্তিটি ।
প্রয়াত বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর( Harish Chowdhury ) আত্মগোপনের গল্প এখন মানুষের মুখে মুখে। সবার একটাই প্রশ্ন- একটানা ১৪ বছর তিনি কীভাবে আত্মগোপনে থাকলেন? যেখানে তাকে খুঁজছে গোয়েন্দারা। ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট তালিকায়ও ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর পর যখন জানা যায়, দীর্ঘ ১৪ বছর দেশের মাটিতেই ছিলেন এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তা নিয়ে আলোচনা হয়। এটাই ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি।
বিলম্বে প্রাপ্ত অনুসন্ধানে জানা যায়, নাম বদল করার কারণে তিনি ছিলেন সন্দেহের ঊর্ধ্বে। মাহমুদুর রহমান( Mahmudur Rahman ) নামেই পরিচয় দিতেন।
পান্থপথে যেখানেই থাকতেন সেখানেই তিনি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
মানবজমিনের প্রকাশিত খবরে জানা যায়, হারিছ চৌধুরী ওরফে মাহমুদুর রহমান( Mahmudur Rahman ) ২০১৪ সালের জুলাই( July of the year ) মাসে ওমরাহ ভিসা নেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। কিন্তু কেন? এই তথ্য যাচাই করা যায়নি. তবে তার পাসপোর্টে ভিসা লাগানো ছিল।
এছাড়া আরো জানা যায় মুক্তিযোদ্ধা হারিছ চৌধুরী দুবার আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। কার পরামর্শে সেই তথ্যও আমাদের হাতে এসেছে। প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তাকে আত্মসমর্পণ না করার পরামর্শ দেন। তার পরামর্শ ছিল- এটা হবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মানবজমিন অনুসন্ধানে আরও একটি তথ্য এসেছে। তার চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরী, পরিবারের একমাত্র সদস্য, লুকানোর সময় তার সাথে যোগাযোগ রাখতেন এবং তার যত্ন নিতেন। আশিক চৌধুরীর মাধ্যমে খবর পান তার ভাই সেলিম( Selim ) চৌধুরী।
একসময় ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থাকা, বিএনপির( BNP ) এই হাইপ্রোফাইল নেতা কিভাবে এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন, তা নিয়ে সবার মধ্যেই বিস্ময় কাজ করে।