বাংলাদেশের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে চলতি বছরে। আর সেই থেকেই বেশ কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেছে তারা। তবে সব থেকে বেশি আলোচনা সমালোচনা হয়েছে সম্প্রতি স্থগিত হওয়া গাইবান্ধার উপনির্বাচনে। সম্প্রতি এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমরা আমাদের কাজ করছি।’
রোববার জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনিটরিং সেল পরিদর্শন শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘সিসি টিভির প্রবণতা সাম্প্রতিক। এর মাধ্যমে আমরা এখান থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারি। এটা একটা ভালো দিক। তিনি বলেন, আমাদের কোনো পক্ষ নেই। আমরা চাই ভোটাররা তাদের ভোট দিন। আমি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সিসি টিভি ব্যবহার করছি।
নির্বাচন ভবনের মনিটরিং সেল থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে ভোট পর্যবেক্ষণ করছে ইসি। গত ১২ অক্টোবর এখান থেকে ভোটগ্রহণে অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়, প্রথমে ৫১টি কেন্দ্র এবং পরে পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। এরপর ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ইসিকে।
নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর বলেন, তাহলে ৪০ বা ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪ লাখ ভোট হবে।
আমাদের টেকনিক্যাল টিম বলেছে সেখানে সিসিটিভি ব্যবহার করা যাবে। তবে তখন শুধু আমাদের পাঁচজন নির্বাচন কমিশনার নয়, মনিটরিংয়ের জন্য আরও জনবল নিয়োগ করা হবে। নিয়োজিত থাকবেন ইসির কর্মকর্তারা।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, গাইবান্ধা নির্বাচনের মতো আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনেও প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে।
প্রসঙ্গত, গেলো কয়েকদিন আগে নির্বাচনের অনিয়ম দেখার কারনে ইসি নিজে থেকে বন্ধ করে দেয় ওই নির্বাচন। এরপরেও বেশ সমালোচনার মুখে পরে তারা। তবে স্থগিত করা ওই নির্বাচন নতুন করে কবে নাগাদ আবার নানুষ্ঠিত হবে তা জানায়নি সংস্থাটি।