সম্প্রতি পাকিস্তানে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ( Imran Khan )। পানিস্তানের ইতিহাসে কোন প্রধানমন্ত্রী এর আগে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেননি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ( Imran Khan ) পদত্যাগ করার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন শাহবাজ শরীফ। এবার শাহবাজ শরীফ ও তার ছেলে হামজা শাহবাজ শরিফ গ্রেফতার হতে পারেন।
পাকিস্তানের ( Pakistan ) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং তার ছেলে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজ শরিফকে ( Hamza Shahbaz Sharif ) অর্থ পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার করা হতে পারে, পাকিস্তানের ( Pakistan ) সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউন এক্সপ্রেস ( Tribune Express ) শনিবার ( Saturday ) জানিয়েছে।
ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) শনিবার লাহোরের একটি বিশেষ আদালতকে বলেছে যে তারা ১৬ বিলিয়ন টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করতে চায়।
মানি লন্ডারিং মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা উচিত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এফআইএ আইনজীবী বলেন, চালানের তথ্য অনুযায়ী আরও তদন্তের জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা দরকার।
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ও মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) আইনজীবী আমজাদ পারভেজ শুনানির শুরুতে আদালতকে বলেছিলেন যে মামলাটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং জাল মামলায় দলের নেতাদের জড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একই মামলায় অভিযুক্তদের দুটি ভিন্ন আদালতে বিচার করা যায় না। কারণ তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি মানি লন্ডারিং মামলা করেছে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।
যদিও এফআইএ শাহবাজ ও হামজাকে গ্রেফতার করার তাগিদ দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এফআইএ’র আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ও মুখমন্ত্রী হামজা শাহবাজকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এফআইএ’র আইনজীবী। কারন অধিকতর তদন্ত করতে হলে তাদের আটক করা দরকার। তবে তাদের আটক করার ব্যপারে এখন কোন তাগিদ দেওয়া হয়নি।