বর্তমান প্রযুক্তির যুগ। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের আনাচে-কানাচে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা তুলে ধরেন গণমাধ্যম কর্মীরা। অবশ্যে এই তথ্য সংগ্রহ করতে ঘিয়ে নানা ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে হয় গণমাধ্যম কর্মীদের। তাদের কাজ খুবই চ্যালেঞ্জিং। সম্প্রতি জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু কথা জানালেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন। বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের সুবাদে যখন যা ঘটছে, আমরা তা জানতে পারছি। এতে করে গণমাধ্যমকর্মীদের চ্যালেঞ্জ বেড়ে গেছে। নির্ধারিত সময়ের সঠিক তথ্য দেওয়াটা এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সোমবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ কথা বলে। শিরীন শারমিন বলেন, সাংবাদিকদের নির্ধারিত দিনে কোনো ছুটি নেই, প্রতিটি মুহূর্তে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাদের দায়িত্বের পাশাপাশি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম সুচারুরূপে পরিচালনা করছেন। এ সংগঠনে নারীরাও সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নারী অধিকার নিয়ে তারা কাজ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কো/ভি/ড-১৯ পরিস্থিতিতে আমরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযোগ থাকতে পেরেছি ডিজিটাল দেশ হওয়ার কারণে। স্পিকার আরও বলেন, গণমাধ্যমের সুবাদে প্রতি মুহূর্তের খবর প্রচার হচ্ছে, কোনো কিছুই আটকে রাখার সুযোগ নেই। কোনো মাধ্যমের ইতিবাচক দিক যেমন রয়েছে, তার সঙ্গে রয়েছে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য কে কার আগে প্রচার করবে সেটি নিয়ে এখন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। দেশ ডিজিটালের ছোঁয়ায় আমরা এ স্থানে পৌঁছে গেছি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমান সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম কর্মীরা তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে নানা ধরনের বিপদে সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি অনেক সময় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে নি/র্যা/ত/ন-নি/পী/ড়নের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীরাও নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এমন অভিযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার গণমাধ্যম কর্মীদের প্রদান করছেন নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা।