দেশের সর্বোচ্চ আইন কানুনের নীতি নির্ধারক সুপ্রিমকোর্ট। সকল ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড নিরমূল সহ রাষ্ট্র পরিচলানার বিধি-বিধান গুলো সুপ্রিমকোর্ট পরিচালনা করে থাকে। বর্তমান সময়ে বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের উচ্চ আদালতও নিজেদের অনেক সংস্করন করেছে। এবং দেশের ক্রান্তিকালে অর্পিত দায়িত্ব উচ্চ আদালত দায়িত্বের সঙ্গে পালন করেছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জাতির ক্রান্তিকালে যখনই প্রয়োজন হয়েছে সুপ্রিমকোর্ট তার ওপরে অর্পিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সংবিধানকে রক্ষা করেছে। বিচার বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তথ্যপ্রযুক্তির সব সুবিধা ব্যবহার করে মামলা ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনতে হবে। ‘বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট দিবস-২০২১’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে শনিবার বিকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হ/ত্যা/র মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তারা সংবিধানবিরোধী ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাশ করে ভেবেছিল আর কখনো তাদের বিচার হবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জাতির পিতার হ/ত্যা/কা/রী/দের বিচার করে সুপ্রিমকোর্ট সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতি আজ সেই কলঙ্ক থেকে কিছুটা হলেও দায়মুক্ত। আজ সুপ্রিমকোর্ট দিবসের এ অনুষ্ঠানে আমি কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করছি সুপ্রিমকোর্টের সেসব অকুতোভয় বিচারপতিকে, যারা ব/ন্দু/কে/র নলের কাছে নতি স্বীকার করেননি। তাদের বিবেককে কখনো বিকিয়ে দেননি। এছাড়া বিজ্ঞ আইনজীবীদের ভূমিকাও আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের সব আদালতের কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সুপ্রিমকোর্ট যেহেতু কোর্ট অব রেকর্ড, সেহেতু এর সব নথিকে ডিজিটাল নথিতে পরিণত করার উদ্যোগ নিতে হবে। মামলা দায়ের থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত সব কার্যক্রমকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করাও জরুরি। বিচারকাজ একটা জটিল বিষয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বিচারকদের আরও বেশি কাজ করে মামলার পরিমাণ আয়ত্তের মধ্যে আনতে অনুরোধ জানান।
বর্তমান প্রযুক্তির যুগ। বিশ্ব জুড়েই এই প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই এই প্রযুক্তির ব্যবহারে। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার বিদ্যমান। দেশের বিচার বিভাগেও এই প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। এতে করে খুবই সহজেই দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার কার্য পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে।