বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। তাই ব্যবসায়িক লেনদেন সচল রাখতে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বেড়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন। লেনদেনের সুবিধার জন্য, ৯ই অক্টোবর ২০২৪ তারিখে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সাথে বাংলাদেশী টাকার বিনিময় হার হাইলাইট করা হল-
বৈদেশিক মুদ্রার নাম=বাংলাদেশি টাকা
ইউএস ডলার=১২২ টাকা ৬০ পয়সা
ইউরোপীয় ইউরো=১৩৬ টাকা ৫০ পয়সা
ব্রিটেনের পাউন্ড=১৬২ টাকা ২৫ পয়সা
ভারতীয় রুপি=১ টাকা ৪২ পয়সা
মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত=২৭ টাকা ৯৫ পয়সা
সিঙ্গাপুরের ডলার=৯৩ টাকা ১০ পয়সা
সৌদি রিয়াল=৩২ টাকা ২৫ পয়সা
কানাডিয়ান ডলার=৮৮ টাকা ৫০ পয়সা
অস্ট্রেলিয়ান ডলার=৮৩ টাকা ১৫ পয়সা
কুয়েতি দিনার=৪০০ টাকা ১০ পয়সা
** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
উল্লেখ্য, রেমিটেন্স হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো হলে প্রবাসীরা বেশ কিছু গুরুতর ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন। প্রথমত, হুন্ডি একটি অবৈধ প্রক্রিয়া, যা সরকারের অনুমোদনবিহীন এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ফলে, প্রবাসীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন, কারণ হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো টাকা সহজেই হাতছাড়া বা চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেহেতু এটি কোনো বৈধ চ্যানেল নয়, তাই কোনো ধরণের নিরাপত্তা নেই এবং টাকা ফেরত পাওয়ার সুযোগও খুবই সীমিত।
দ্বিতীয়ত, হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিতে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ে না এবং সরকারও কর বা অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। এর ফলে, দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রভাব পড়ে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ কমে যেতে পারে।
এছাড়াও, হুন্ডির মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানোর ফলে প্রবাসীরা আইনগত সমস্যায় পড়তে পারেন। অনেক দেশে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। যদি কেউ ধরা পড়ে, তাকে বড় অঙ্কের জরিমানা বা জেল পর্যন্ত ভোগ করতে হতে পারে। তাই প্রবাসীদের উচিত বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানো, যাতে তারা নিজেরাও সুরক্ষিত থাকেন এবং দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারেন।